বিনোদন ডেস্ক: অভিনীত ছবির ব্যর্থতা বা সফলতা কোনটা নিয়েই মাথা ঘামান না আলোচিত বলিউড কুইন কঙ্গনা রানাউত। কঙ্গনা অভিনীত রঙ্গুন নামের একটি ছবির ফ্লপ হওয়া প্রসঙ্গে জিজ্ঞেস করা হলে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে উত্তরটা তিনি এভাবেই দেন।
সাক্ষাৎকারে আলোচিত এ অভিনেত্রী বলেন, জীবনে সবচেয়ে বেশি ভয় যেটাতে পাই, আমার জীবনে সেটাই ঘটে। ফ্লপ হওয়া ‘রঙ্গুন’ ছবিটি তারই একটা অংশ। সেসময় আমার ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও নানা সমস্যা চলছিল। নানা জায়গা থেকে আক্রমণও আসছিল। তাছাড়া ছবির ব্যর্থতা বা সফলতা কোনটা নিয়েই এখন অত মাথা ঘামাই না।
এদিকে গত কয়েক দিন ধরে কঙ্গনা আবার হৃতিক রোশন, অধ্যয়ন সুমন, আদিত্য পাঞ্চোলির সঙ্গে তার সম্পর্ক নিয়ে সরব হয়েছেন। পর পর বেশ কিছু টেলিভিশন চ্যানেলে এসে তিনি হৃতিক ও তার বাবা রাকেশ রোশনের সম্পর্কেও বিষোদগার করেছেন।
কারণটা যে তার ছবি সিমরন মুক্তির আগে নিজের দিকে খানিকটা প্রচারের আলো ঘুরিয়ে নেওয়া, সেটা কারও বুঝতে বাকি নেই।
ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে বলা হয়েছে, গোটা তিনেক বিস্ফোরক সাক্ষাৎকার দেওয়ার পরেই কঙ্গনা মুখ বন্ধ করে নিয়েছেন। তা থেকেই প্রশ্ন উঠেছে ‘কুইন’কে কেন ছবি মুক্তির আগে বিতর্ক উস্কে দিতে হবে?
তিন বার জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত অভিনেত্রীর কি আদৌ এসবের প্রয়োজন আছে? কিন্তু কঙ্গনার মস্তিষ্কে যে কী খেলা চলছে, তা বোঝা কার সাধ্য! ‘সিমরন’ ছবির শুটিংয়ের সময় পরিচালক হনসল মেহেতার সঙ্গে কঙ্গনার বিরোধের কথা শোনা গিয়েছিল।
সে বিষয়ে কঙ্গনাকে প্রশ্ন করা হলে জবাবে বলেন, আমি মটর পনির খেলেও বলবে বিরিয়ানি খেয়েছি। যখন কোনও অভিনেতা নির্দেশককে কিছু টিপস দেন, সেটাকে সৃজনশীলতা বলে। আর কোনও অভিনেত্রী সেই একই কাজ করলে সেটা হয়ে যায় হস্তক্ষেপ!
আমাদের সম্পর্কে নানা ধারণা তৈরি করা হয়েছে, অভিনেত্রীরা কথায় কথায় হাসেন, কারও সঙ্গে বিছানায় শুয়ে পড়াটা অভীনেত্রীদের কাছে পানিভাত। আমাদের তো নিজেদের কোনও বুদ্ধি থাকতেই পারে না।
তিনি আরও বলেন, হনসল স্যার যখন আমার কাছে সিমরনএর ধারণা নিয়ে এসেছিলেন, সেটা মাত্র এক লাইনের ছিল। সকলে মিলে তা উন্নত করেছি।