শীর্ষবিন্দু নিউজ ডেস্ক: ত্রাণ নিয়ে জাতিসংঘের দুটি ফ্লাইট অবতরণ করেছে বাংলাদেশে। অন্যদিকে ৩৪ টন ত্রাণ সহায়তা নিয়ে ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় বিমান বাহিনীর ঘাঁটি থেকে বাংলাদেশের উদ্দেশে যাত্রা করেছে চারটি হারকিউলিস বিমান। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা এপি। এতে বলা হয়, এসব ত্রাণ এসেছে বা আসছে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য।
জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজাররিক বলেছেন, জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা একটি বিমান ভাড়া করে তাতে পাঠিয়েছে আশ্রয়ের জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী, ঘুমানোর জন্য মাদুর ও জরুরি অন্যান্য সরবরাহ। দ্বিতীয় ফ্লাইটটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের সহায়তায় প্রায় দুই হাজার পরিবারের জন্য তাঁবু বহন করেছে। এক লাখ ২০ হাজার শরণার্থীর কাছে পৌঁছানো যায় এমন পরিকল্পনা নিয়ে আরো ফ্লাইট পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে।
স্টিফেন ডুজাররিক বলেছেন, কক্সবাজার এলাকায় প্রায় ৭০ হাজার ও আশপাশের বিভিন্ন ক্যাম্পে বসবাসরত প্রায় ৬০ হাজার রোহিঙ্গার মধ্যে খাদ্য বিতরণ করছে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসুচি। তবে মিয়ানমারের ভিতরে রাখাইনের উত্তরাঞ্চলে বেশির ভাগ ত্রাণ তৎপরতা স্থগিত রাখা হয়েছে না হয় তা মারাত্মকভাবে বিঘিœত হচ্ছে, যদিও সেখানে রেড ক্রসের মাধ্যমে সরকার যৎসামান্য সহায়তা দিচ্ছে।
ওদিকে বুধবার বাংলাদেশের উদ্দেশে ছেড়ে আসা চারটি বিমানকে বিদায় জানান ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইডোডো। প্রথমবারে পাঠানো এসব ত্রাণের মধ্যে রয়েছে তাঁবু, চাল, চিনি, কম্বল, পানির ট্যাংক, তাৎক্ষণিক খাওয়ার মতো খাদ্য, স্যানিটেশনে ব্যবহৃত সরঞ্জাম। পূর্ব জাকার্তায় হালিম পরদানাকুসুমাহ বিমান ঘাঁটি থেকে এ বিমানগুলো ছেড়ে আচেহ প্রদেশে থামার কথা। সেখান থেকে নতুন করে জ্বালানি নিয়ে উড়বে চট্টগ্রামের উদ্দেশে। এসব বিমানে রয়েছেন ১৮ জন স্বেচ্ছাসেবক। তারা ইন্দোনেশিয়া থেকে আসছেন। কক্সবাজারে শরণার্থী শিবিরগুলোতে এসব ত্রাণ বিতরণে সহায়তা করবেন তারা।
রেসিডেন্ট জোকো উইডোডো বলেছেন, হারকিউলিস বিমানগুলো সেনাবাহিনীর। তাদের দ্বারা এটি পরিচালিত হয়। দ্রুততার সঙ্গে যাতে ত্রাণ পৌঁছে যায় তা নিশ্চিত করতে এই বিমান ব্যবহার করা হয়েছে। তার ভাষায়, কন্টেইনারে করে যদি আমরা এসব ত্রাণ পাঠাতাম তাহলে তা বাংলাদেশে পৌঁছতে অনেক দীর্ঘ সময় লেগে যেতো। তিনি রাখাইনে অবিলম্বে সহিংসতা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন এর আগে। প্রতিশ্রতি দিয়েছিলেন মানবিক সহায়তা দেবেন।