সনাতন মতে ডেস্ক: মঙ্গল প্রদীপ জ্বালিয়ে, ঢাক বাজিয়ে আজ সকাল ৬ টায় দেবী দুর্গার আবাহনের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে শুভ মহালয়া।
মা আজ পা রেখেছেন মর্ত্যলোকে। মহালয়ার দিন ভোরে মন্দিরে মন্দিরে শ্রী শ্রী চণ্ডীপাঠের মধ্য দিয়ে দেবীকে আবাহন জানানো হয়। দেবীর আরাধনা সূচিত হয় মহালয়ার মাধ্যমে। নিয়মানুযায়ী এর ছয়দিন পর শুরু হয় ষষ্ঠী ও পর্যায়ক্রমে দশমীতে দেবী আবারও ফিরে যান কৈলাশে।
শুভ মহালয়া উপলক্ষে মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটি ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে মহালয়ার বিশেষ অনুষ্ঠান ভোর ৬টায় শুরু হয়। কেন্দ্রীয় পূজামণ্ডপে সকাল ৯টায় মহালয়ার ঘট স্থাপন ও বিশেষ পূজার আয়োজন করা হয়। রাজধানীর রমনা কালী মন্দির ও কৃষিবিদ মিলনায়তনে মহালয়ার অনুষ্ঠান পালন হয়েছে।
বছর ঘুরে আবারও মা আসছেন তার বাপের বাড়ি। হিমালয়ের কৈলাশ থেকেই দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে আসেন সমতল ভূমিতে। সঙ্গে নিয়ে আসেন গণেশ, কার্তিক, লক্ষ্মী আর সরস্বতীকে। হিন্দু শাস্ত্রমতে দেবী দুর্গার আবাহনই মহালয়া হিসেবে পরিচিত। এই দিনে দেব-দেবীকূল দুর্গাপূজার জন্য জাগ্রত হন। এভাবেই মর্ত্যলোকে আবাহন ঘটে দেবী দুর্গার। মহালয়া দুর্গোৎসবের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
এদিন গঙ্গাতীরে ভক্তরা মৃত আত্মীয়স্বজন ও পূর্বপুরুষদের আত্মার মঙ্গল কামনা করেন। শ্রী রামচন্দ্র রাবণের হাত থেকে সীতাকে উদ্ধার করতে যাওয়ার আগে দুর্গা পূজার আয়োজন করেছিলেন। তাই শরৎকালের এই পূজাকে হিন্দুমতে অকালবোধনও বলা হয়।