দায়িদ হাসান মিলন: প্রযুক্তির উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান স্বয়ংক্রিয় হয়ে যাচ্ছে। ফলে এসব প্রতিষ্ঠানে কর্মজীবী হিসেবে মানুষের প্রয়োজনীয়তা ক্রমেই ফুরিয়ে আসছে। এ ছাড়া আধুনিক প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে উন্নত সব রোবট তৈরি করায় চাকরি হারাচ্ছে অসংখ্য মানুষ।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের কর্নারস্টোন ক্যাপিটাল গ্রুপ নামের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান তাদের গবেষণায় দেখিয়েছে, আগামী এক দশকে রোবটের জন্য চাকরি হারাবে প্রায় ৭৫ লাখ মানুষ। বিশেষ করে যেসব কাজ করতে খুব বেশি যোগ্যতার প্রয়োজন হয় না, সেগুলো রোবটদের দখলে চলে যাবে। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন ক্যাশ কাউন্টার এবং ব্যাংকের বিভিন্ন বুথে থাকা কর্মজীবীরা।
ইতোমধ্যে বিশ্বের নামি-দামি সব প্রতিষ্ঠানে স্বয়ংক্রিয় প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। এছাড়া অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজে নিয়োজিত রয়েছে রোবট। ফলে সেগুলোতে কর্মসংস্থান হচ্ছে না মানুষের। এ ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য হলো অ্যামাজন। প্রতিষ্ঠানটি এরই মধ্যে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতি চালু করেছে। যে কারণে তাদের ক্যাশ কাউন্টার এবং নজরদারির জন্য মানুষকে নেওয়া হচ্ছে না।
ভবিষ্যতে এ সমস্যা আরও বাড়বে বলে মনে করছেন প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা। এ সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের কার্নেগি মেলন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং প্রযুক্তিবিদ বিবেক ভেদওয়া বলেন, ‘২০২০-এর দশকে রোবটিকস প্রযুক্তির মাধ্যমে যানবাহন সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় হয়ে যাবে। ফলে ড্রাইভিংয়ের সঙ্গে জড়িত ৫০ লাখ মানুষ তাদের চাকরি হারাবে।’
রোবটিকস প্রযুক্তি এবং রোবটের কারণে শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই এ অবস্থা হবে। ফলে গোটা বিশ্বের চিত্রটি বিবেচনায় নিয়ে শঙ্কিত সংশ্লিষ্টরা। অবশ্য এ অবস্থা থেকে উত্তরণের পথও দেখিয়ে দিচ্ছেন কেউ কেউ।
এ সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের অনলাইনভিত্তিক প্রতিষ্ঠান বক্সেড-এর প্রধান নির্বাহী চিয়াহ হুয়ান বলেন, ‘রোবটের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে চাকরিতে টিকে থাকতে হলে মানুষকে আরও দক্ষ হতে হবে। নতুন সব প্রযুক্তি সম্পর্কে জানতে হবে। যদি কেউ মনে করে সে আধুনিক প্রযুক্তি গ্রহণ করবে না, তাহলেই পিছিয়ে যাবে। সত্যি কথা বলতে, মানুষের প্রয়োজনীয়তা কখনও ফুরিয়ে যাবে না।’