বিনোদন ডেস্ক: ছেলে আরিয়ান ও মেয়ে সুহানার সঙ্গে শাহরুখ খান। ছবি: ইনস্টাগ্রাম‘বলিউড বাদশা’ শাহরুখ খানের বড় দুই সন্তান আরিয়ান ও সুহানা। ছেলের বয়স ২০ আর মেয়ের ১৭। এই বয়সে বলিউডে যাত্রা শুরু করা নতুন কোনো ঘটনা নয়।
এদিকে শাহরুখের সন্তানেরা কবে সিনেমায় আসছেন, এই নিয়ে চলছে হাজারো জল্পনা-কল্পনা। আরিয়ান খান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে খুব সক্রিয়। তাই এই ছেলে বলিউডে পা রাখার আগেই নানা কারণে সংবাদপত্রের শিরোনাম হচ্ছেন।
এদিকে শাহরুখের মেয়ে সুহানার আছে মঞ্চে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা। তার অভিনয় দেখে প্রশংসা করেছেন ভারতের গুণী অভিনেত্রী শাবানা আজমি। সবাই ভেবে নিতেই পারেন, শাহরুখের দুই সন্তান শিগগিরই পর্দায় নাম লেখাতে যাচ্ছেন। কিন্তু শাহরুখ সেটা একদমই চান না।
সন্তানদের নিয়ে বাবা শাহরুখ খানের পরিকল্পনা একেবারেই অন্য রকম। এমনকি সবচেয়ে ছোট ও সুদর্শন সন্তান আব্রামের ক্ষেত্রেও তিনি একই নীতি অনুসরণ করবেন। আজ মঙ্গলবার টুইটারে শাহরুখ লিখেছেন, যত দিন পর্যন্ত সম্ভব তিনি তাঁর সন্তানদের মধ্যে শিশুর পবিত্রতা ধরে রাখতে চান।
কিন্তু বলিউডের বাতাস একবার গায়ে লাগলে কি আর সেই নিষ্পাপ ভাব ধরে রাখা যাবে? একদম না। আর এ কথা বলিউডের এই পুরোনো বাসিন্দা হিসেবে শাহরুখ হাড়ে হাড়ে জানেন। এ জন্য ছেলেমেয়েদের একটু দেরিতেই চলচ্চিত্রে আনতে চান তিনি।
আজ ভোরে একটি টুইট করেছেন শাহরুখ। তাঁর বাবা মীর মোহাম্মদ খানের আজ মৃত্যুবার্ষিকী। প্রয়াত বাবাকে স্মরণ করে শাহরুখ লিখেছেন, ১৯ সেপ্টেম্বর। বাবার আত্মার শান্তি কামনা করি। আমার বাবার মতো আমারও সন্তানদের প্রতি কেবল একটাই দায়িত্ব। যতটা পারা যায়, ততটা দেরি করে তাদের প্রাপ্তবয়স্কের সূচনা করা। আর তাদের শৈশবের পবিত্রতা ধরে রাখা।
শাহরুখ যখন বাবাকে হারান, তখন তাঁর বয়স মাত্র ১৫। এরপর মা একাই তাঁকে মানুষ করেছেন। এখন তিনি বলিউড কিং। কিন্তু এই পথচলা তাঁর জন্য খুব মসৃণ ছিল না। অনেক কষ্ট করে আজকের এই শক্ত অবস্থানে পৌঁছেছেন তিনি।
জীবনসংগ্রাম আর প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা কাকে বলে, সেটা শাহরুখ খুব ভালো জানেন। এ জন্যই সন্তানদের এত অল্প বয়সে এই কঠিন পথে হাঁটতে দিতে চান না। তবে সন্তানদের যদি অভিনয়ের প্রতি ঝোঁক থাকে, সে ক্ষেত্রে কোনো বাধাও দেবেন না। একটাই শর্ত, আগে পড়াশোনা শেষ করতে হবে।
স্ত্রী গৌরী খান আর তিন সন্তান আরিয়ান, সুহানা ও আব্রামের সঙ্গে শাহরুখ। কিছুদিন আগে এক সাক্ষাৎকারে বিনোদন সাংবাদিক রাজীব মাসান্দকে শাহরুখ বলেন, তারকা হলে তারকা খ্যাতি থাকবে, এটা স্বাভাবিক। আমার স্ত্রী ও সন্তানেরাও এখন বিষয়টি মেনে নিয়েছে। আমি যেখানে যাই, সেখানেই লোক জমে যায়। আমি এসবের সঙ্গে অভ্যস্ত হলেও আমার সন্তানেরা এ কারণে মাঝেমধ্যে বিব্রত হয়।
এ ক্ষেত্রে আমার পরিবার বেশ ত্যাগ স্বীকার করা শিখে গেছে। আমরা কোনো অনুষ্ঠান, এমনকি ব্যক্তিগত নৈশভোজে গেলেও দুটি দলে ভাগ হয়ে যাই। হয়তো আমি আগে বের হয়ে যাই, এরপর আমি পৌঁছে গেলে সেখানে আমার স্ত্রী গৌরী সন্তানদের নিয়ে রওনা হন। আবার মাঝে মাঝে উল্টো ঘটনাও ঘটে।