শীর্ষবিন্দু নিউজ ডেস্ক: কক্সবাজার সদর উপজেলার পোকখালী গোমাতলীতে ২০১৮ সালের দাখিল পরীক্ষার্থী এক মাদ্রাসার ছাত্রী পুরুষে রূপান্তর হওয়ার খবরে চাঞ্চল্যের সৃস্টি হয়েছে। কৌতুহলী মানুষের নানা প্রশ্নের মুখে বর্তমানে পুরুষে রুপান্তর হওয়া মাদ্রাসাছাত্রী সহ তার পরিবার পড়েছে বিপাকে।
রুপান্তর হওয়া ছাত্রীর নাম কাজল মণি, পিতার নাম আবুল কালাম, মাতার নাম মৃত মোমেনা বেগম। বর্তমানে তার নাম রাখা হয়েছে মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসাইন তাহাসিন। পুরুষে রূপান্তরিত ঐ ছাত্রী গোমাতলী মুনছেহেরিয়া বালিকা দাখিল মাদ্রাসার ২০১৮ সালের দাখিল পরীক্ষার্থী।
গোমাতলী মুনছেহেরিয়া বালিকা দাখিল মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা সুপার মাওলানা নুরুল কবির এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান, পুরুষে রূপান্তরিত ঐ ছাত্রী ৬ষ্ঠ শ্রেণী হইতে ১০ম শ্রেণী পর্যন্ত ছাত্রী হিসাবেই আমার প্রতিষ্ঠানে পড়ালেখা করে আসছিল। সেই ছাত্রী হিসেবে খুব মেধাবী, পর্দানশীল, নিয়মিত ছাত্রী ছিল।
মাওলানা নুরুল কবির আরও জানান, তবে ইতমধ্যে তার নাম ছাত্রী হিসেবে রেজিস্ট্রেশান হবার কারনে আগামী পরীক্ষায় কোন সমস্যা হবে কি না তা নিয়ে সমস্যায় পড়েছেন সবাই ।
এদিকে, পুরুষে রূপান্তরিত ঐ ছাত্রীর পারিবারিক সুত্র জানায়, শিশু কাল থেকেই ঐ শিক্ষার্থীর কোন লিঙ্গ ছিল না। তবে প্রস্রাবের জন্য একটা ছিদ্র ছিল। শিশুকালে ঐ শিক্ষার্থীর মা মারা যান। যার ফলে এব্যাপারে কেউ তার জন্য চিন্তা করেনি। ঐ ছাত্রী নিজেকে মেয়ে মনে করে মেয়ে হিসেবে জীবন যাপন করে আসছিল এবং ছাত্রী হিসেবে লেখাপড়া করে আসছিল। একসময় তার এক ঘনিষ্ঠ আত্মীয় তার গোপন সমস্যার কথা চিন্তা করে তার প্রতি দয়াবান হয়ে তাকে চিকিৎসার জন্য আগ্রহী করে তুলেন। ফলে সম্প্রতি যথাযথ চিকিৎসার পর তার পুরুষাংগের উৎপত্তি ঘটে। সে বর্তমানে একজন পুরুষ হিসেবে চলাফেরা শুরু করেছে।
পারিবারিক সুত্র আরও জানায়, নিজেকে এখন ছাত্রী নয় ছাত্র হিসেবেই পরিচিতি দিতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছে সে। আগামী ২০১৮ সালের দাখিল পরীক্ষায় ছাত্রী হিসেবে নয় ছাত্র হিসেবেই মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসাইন তাহাসিন নামে অংশগ্রহণ করার জন্য জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে সে ।
এ ব্যাপারে স্কুল কতৃপক্ষসহ পরিবার বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড সহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছে।