শীর্ষবিন্দু নিউজ: আজ শারদীয় দুর্গাপূজার মহাষ্টমী। দুর্গোৎসবের সবচে আকর্ষণীয় এবং জাঁকজমকপূর্ণ দিনে আজ কুমারী পূজা ও সন্ধি পূজা পালিত হবে। গতকাল ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য, আনন্দ উদ্দীপনা ও জাঁকজমকপূর্ণভাবে পালিত হয়েছে দুর্গোৎসবের মহাসপ্তমী।
ভোরে নবপত্রিকা স্নান দিয়ে মহাসপ্তমীর সূচনা হয়। এরপর ত্রিনয়নী দেবী দুর্গার চক্ষুদান করা হয়। দেবীর পায়ে চণ্ডী ও মন্ত্রপাঠের মাধ্যমে দেবীকে আসন, বস্ত্র, নৈবেদ্য, স্নানীয়, পুষ্পমাল্য, চন্দন, ধূপ ও দীপ দিয়ে পূজা করেন তার ভক্তরা। পূজা শেষে মায়ের চরণে পুষ্পাঞ্জলী দেন ভক্তরা।
গতকাল সকাল থেকে মধ্যরাত অবধি মানুষের পদচারণা এবং আনন্দ উল্লাসে মুখর ছিল সারা দেশের প্রতিটি পূজামণ্ডপ। পূজার্চনার পাশাপাশি আরতি, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ভক্তিমূলক সংগীত, দুস্থদের মধ্যে বস্ত্র বিতরণসহ ছিল নানা আয়োজন।
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ গতকাল ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে মহানগর কেন্দ্রীয় পূজামণ্ডপ এবং পরে ঢাকা রামকৃষ্ণ মঠ পরিদর্শন করেন। রাষ্ট্রপতির আগমন উপলক্ষে এ দুটি পূজামণ্ডপ ও আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়।
কুমারী পূজা কেন হয় এ বিষয়ে রামকৃষ্ণ মঠের মহারাজ স্বামী গুরু সেবানন্দ শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংস দেবের বক্তব্য তুলে ধরে বলেন, সব নারী ভগবতীর একেকটি রূপ। শুদ্ধাত্মা কুমারীতে ভগবতীর বেশি প্রকাশ। কুমারী পূজার মাধ্যমে নারী হয়ে উঠবে পবিত্র ও মাতৃভাবাপন্ন। প্রত্যেকে শ্রদ্ধাশীল হবে নারীর প্রতি।
১৯০১ সালে ধর্মপ্রচারক স্বামী বিবেকানন্দ কলকাতার বেলুড় মঠে কুমারী পূজার মাধ্যমে এর প্রচলন করেন। তখন থেকে প্রতিবছর দুর্গাপূজার অষ্টমী তিথিতে এ পূজা চলে আসছে। পূজার আগ পর্যন্ত কুমারীর পরিচয় গোপন রাখা হয়। এছাড়া নির্বাচিত কুমারী পরবর্তী সময়ে স্বাভাবিক জীবনযাপন আচার-অনুষ্ঠান করতে পারে। শাস্ত্র অনুসারে, সাধারণত ১ থেকে ১৬ বছরের সুলক্ষণা কুমারীকে পূজা করা হয়।