বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ০২:৩৭

চলে গেলেন খ্যাতনামা সাংবাদিক আতাউস সামাদ

চলে গেলেন খ্যাতনামা সাংবাদিক আতাউস সামাদ

বাংলাদেশের খ্যাতনামা সাংবাদিক আতাউস সামাদ দীর্ঘ রোগ ভোগের পর  ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। রাজধানী ঢাকার অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার রাতে তিনি ইন্তেকাল করেন। মরহুমের ছেলে আশিকুস সামাদ-এর বরাত দিয়ে ঢাকার সংবাদ মাধ্যমগুলো জানায় , স্থানীয় সময় রাত নয়টা ২৫ মিনিটে অ্যাপোলো হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর।
দীর্ঘদিন ধরে আতাউস সামাদ ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন। গত রোববার সন্ধ্যায় তার শারীরিক অবস্থার  অবনতি ঘটলে  আতাউস সামাদকে অ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে তার পরপর দু’টি অপারেশন হয় ও তার বাম পা কেটে ফেলা হয়। এই অপারেশনের পর থেকেই সংজ্ঞাহীন ছিলেন আতাউস সামাদ। এ সময় পোস্ট অপারেটিভ রুমে লাইফ সাপোর্ট দিয়ে রাখা হয় তাকে। আতাউস সামাদ তিন সন্তানের জনক এবং তার স্ত্রী কামরুন্নাহার রেনু বর্তমানে অসুস্থ।
সংক্ষিপ্ত জীবনী :
আতাউস সামাদ ১৯৩৭ সালের ১৬ নভেম্বর ময়মনসিংহে জন্মগ্রহণ করেন।  তিনি সাংবাদিকতা শুরু করেন ১৯৫৯ সালে ।  এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিলাভ করেন তিনি। ১৯৬৯ থেকে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত পূর্ব পাকিস্তান ইউনিয়ন অব জার্নালিস্ট বা ইপিইউজে’র  সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তিনি। ১৯৭২ সাল থেকে ১৯৭৬ সাল পর্যন্ত আতাউস সামাদ নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা  বা বাসস-এর বিশেষ সংবাদদাতার দায়িত্ব পালন করেছেন।
পরে ১৯৮২ সালে তিনি বিবিসিতে যোগ দেন এবং টানা ১২ বছর বাংলাদেশের সংবাদদাতা হিসেবে কাজ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবেও কাজ করেছেন মরহুম আতাউস সামাদ।
মৃত্যুর আগ মুহূর্ত পর্যন্ত তিনি ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক আমার দেশ-এর উপদেষ্টা সম্পাদক ছিলেন।  এ ছাড়া, তিনি ‘এখন’ নামের একটি সাপ্তাহিকের সম্পাদক  এবং  বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এনটিভি’র নির্বাহী প্রধান হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন।
আতাউস সামাদ নিয়মিত কলাম লিখেতেন এবং তার কলাম পাঠক প্রিয় ছিল। ‘দা প্লট থিকেন্স’ শিরোনামের কলামে তিনি বাংলাদেশের সরকারি মালিকানাধীন সোনালী ব্যাংক –এর বহুল আলোচিত দুর্নীতির বিষয়টি সরস ভঙ্গিতে তুলে ধরেন। দৈনিক আমার দেশে গত ১৪ আগস্ট প্রকাশিত এই কলামই ছিল হয়ত তার জীবনের শেষ কলাম ।
তার মৃত্যুতে ঢাকার সাংবাদিক জগতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। দৈনিক আমার দেশের  সম্পাদক মাহমুদুর রহমান বলেছেন, বাংলাদেশে এখন কঠিন সময় চলছে, এ সময়ে আতাউস সামাদের বেঁচে থাকার খুব দরকার ছিল।




Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *



পুরানো সংবাদ সংগ্রহ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০৩১  
All rights reserved © shirshobindu.com 2012-2024