বিনোদন ডেস্ক: প্রাকৃতিক ও স্নিগ্ধ সৌন্দর্যের অধিকারী অভিনেত্রী আলেয়া ভাট। ভোগ ম্যাগাজিনকে তিনি জানিয়েছেন তার সৌন্দর্যের পেছনের কারণ সম্পর্কে। শুধু দামি প্রসাধনী ব্যবহার নয়, বরং স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্যাভ্যাসের কারণেই সুন্দর ও ও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ত্বকের অধিকারী হওয়া যায়- এমনটা মনে করেন আলিয়া। সঙ্গে চাই নিয়মিত ত্বকের যত্ন ও সঠিক জীবনযাপন পদ্ধতি।
কী ধরনের বিউটি প্রোডাক্ট ব্যবহার করেন ত্বকের যত্নে? আলিয়া জানান, প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে পানি করেন তিনি। এছাড়া ত্বকের ধরন অনুযায়ী ব্যবহার করেন ফেসওয়াশ। গার্নিয়ার পিউর অ্যাক্টিভ নিম ফেসওয়াশটি ব্যবহারে স্বাচ্ছন্দ্য তিনি।
যতটা সম্ভব কম মেকআপ রাখেন ত্বকে। কারণ ত্বকেরও প্রয়োজন সঠিকভাবে নিঃশ্বাস নেওয়ার। অতিরিক্ত মেকাপের ভারে সেটা পারে না ত্বক। ফলে শুরু হয়ে যায় নানা ধরনের সমস্যা। আলিয়া প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে এক টুকরো বরফ ঘষে নেন ত্বকে। এটি ত্বকের ফোলা ভাব কমায়। এছাড়া মুলতানি মাটির তৈরি ফেসপ্যাক ব্যবহার করেন নিয়মিত।
খাদ্যাভ্যাস নিয়েও সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেন আলিয়া। দেড় ঘণ্টা পর পর স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার পাশাপাশি সকালে ভারি নাস্তা ও রাতে হালকা খাবার খান তিনি। অ্যাসিডিটি হয় এমন খাবার এড়িয়ে চলেন বরাবরই। খাবার খাওয়ার পর পরই পানি পান করেন না একদম। ত্বকের সুস্থতায় ডায়েট চার্টে ভিটামিন এ সমৃদ্ধ খাবার রাখার পরামর্শ দেন আলিয়া।
কারণ ভিটামিন এ ত্বকে বার্ধক্যের ছাপ যেমন পড়তে দেয় না, তেমনি উজ্জ্বল এবং প্রাণবন্ত রাখে ত্বক। ভিটামিন এ ফাইবোব্ল্যাস্ট উৎপন্ন করতে সাহায্য করে যা ত্বককে সুন্দর রাখে। মিষ্টি আলু, গাজর এবং সবুজ শাকসবজিতে পাওয়া যায় পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন এ। এছাড়া প্রতিদিন ভিটামিন সি ও ই জাতীয় খাবার খান।
প্রতিদিন অন্তত একটি টক জাতীয় ফল খান তিনি। পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে সবুজ শাকসবজি তো থাকেই ডায়েট চার্টে। বিউটি আইকন মানেন কাকে? এমন প্রশ্নের উত্তরে জানালেন হেমা মালিনীকে তার মনে হয় সৌন্দর্যের রানী। তাকেই মানেন বিউটি আইকন।