বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক ও তরুণ উদ্যোক্তা সাবিরুল ইসলাম বলেছেন, জনগণের শক্তিকে বিশ্বাস আর নিজেকে আবিষ্কার করলেই মুখে হাসি ফোটানো যাবে বাংলাদেশের মানুষের। ইতিবাচক মনোভাব, আগ্রহ, পরিশ্রম, ধৈর্য্য আর উদ্দেশ্যের প্রতি আপোষহীনতাকেও সাফল্যের রহস্য হিসেবে উল্লেখ করেছেন বিশ্বব্যপী সাড়া জাগানো এই তরুণ।
সোমবার ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ইয়ং এন্টারপ্রেনার মোটিভেশন কর্মশালায় তিনি বলেন, আমি কে? পৃথিবীতে কেন এসেছি এটা আগে জানতে হবে। এজন্য আত্মবিশ্বাস, আত্মনিবেদন, দূরদৃষ্টির প্রয়োজন। তাগিদ দিয়েছেন, মানুষকে সাহায্যের মানসিকতা ও সহজ কর্মপরিকল্পনা গ্রহণের। বাংলাদেশ সম্পর্কে তিনি বলেন, অনেকেরই ধারণা, বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি ছাড়া কেউ সফল হয়না। সব মা-বাবা ভাবেন তার ছেলে ডাক্তার হবে।
এভাবে আমাদের সমাজ ও সংস্কৃতি অনেক কিছুই চাপিয়ে দেয় সন্তানের উপর। অসংখ্য সম্ভাবনার মধ্য থেকে একটি মাত্র সম্ভাবনার দিকে ঠেলে দেয়। এটা মানবসৃষ্ট ধারণা। আর মানবসৃষ্ট সব কিছুই চ্যালেঞ্জের। বাবা-মা সন্তানকে পথ দেখাতে পারেন, তাদের সহায়তা করতে পারেন কিন্তু সন্তানের জীবনকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না। তরুণদের বলেন, অভিনব ও ভিন্নতর চিন্তা ও পরিকল্পনা নিতে হবে। তাহলেই সমাজকে ভুল প্রমাণ করা যাবে। জনগণের শক্তি উপলব্ধি করলেই দেখবেন অর্থের সংকট কোন সমস্যা নয়।
কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা চেম্বার অব কমার্স এ- ইন্ডাসিট্রজ (ডিসিসিআই) এর সভাপতি ও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির চেয়ারম্যান মো. সবুর খান। আরও উপস্থিত ছিলেন ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. এম লুৎফর রহমান ও জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল (জেসিআই) এর ন্যাশলাল প্রেসিডেন্ট মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল প্রমুখ। ১৯৯০ সালে সাবিরুল ইসলাম লন্ডনের বাংলাদেশী কমিউনিটি টাওয়ার হ্যামলেটে জন্মগহণ করেন। ২৩ বছর বয়সী যুবক সাবিরুল মাত্র ১৪ বছর বয়সে স্কুলের ছয় বন্ধুকে নিয়ে ওয়েব ডিজাইনের ব্যবসা শুরু করেছিলেন। এর পর শিশু-কিশোরদের জন্য ‘টিন-ট্রাপেনার’ নামে একটি গেম বাজারজাত করে বাজিমাৎ করেন যুক্তরাজ্যে। দ্য ওয়ার্ল্ড অ্যাট ইয়োর ফিট ও টিন-স্পিকার নামে দুটি বই লিখে উঠে আসেন সাফল্যের শীর্ষে। এখন তিনি বিশ্বব্যপী দশ লক্ষ তরুণের কাছে সাফল্যের গল্প বলে বেড়ানোর প্রকল্প নিয়ে বেরিয়েছেন।