বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছোট ভাই সাবেক সংসদ সদস্য মুক্তিযোদ্ধা সাঈদ ইস্কান্দার আর নেই। রোববার নিউ ইয়র্কের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
লন্ডন সময় বিকেল ১টার দিকে তার মৃত্যু হয় বলে বিএনপির একটি সূত্র জানায়। তার বয়স হয়েছিল ৫৯ বছর। তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়ে, বড় বোন খালেদা জিয়া, ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার ছাড়াও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, সাঈদ ইস্কান্দার ক্যান্সারসহ বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছিলেন।
সাঈদ ইস্কান্দারের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে।
ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব এই ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেন। তিনি সাঈদ ইস্কান্দারের রূহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকার্ত পরিবারবর্গের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
খালেদা জিয়া দিনাজপুর থেকে ঢাকায় ফেরার সময় ভাইয়ের মৃত্যু সংবাদ শোনেন। এ সময় তাকে বেশ বিমর্ষ দেখাচ্ছিল।
মেজর সাঈদ এস্কান্দার ১৯৮৬ সালে সেনাবাহিনী থেকে অবসর নিয়ে বিএনপিতে যোগ দিয়েছিলেন। ২০০১ সালে বোন খালেদা জিয়ার ছেড়ে দেয়া ফেনী-১ আসনে উপনির্বাচনে বিজয়ী হয়ে সংসদ সদস্য হন সাঈদ। সাঈদ বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ছিলেন। ফেনী জেলা বিএনপির সভাপতিও ছিলেন তিনি।
সাঈদ এস্কান্দারের জন্ম ১৯৫৩ সালের ১৩ জানুয়ারি দিনাজপুরে। স্কুলজীবনেই ছাত্র আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন তিনি। তিনি ১৯৬৯ সালে বিপ্লবী ছাত্র ইউনিয়নের দিনাজপুর জেলার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। পরে তিনি একই সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতিও হন।
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের পর বিএমএর প্রথম ব্যাচের শিার্থী হিসেবে ১৯৭৪ সালে সেনাবাহিনীতে যোগ দেন সাঈদ। ১৯৮০ সালে মেজর হিসেবে পদোন্নতি পান ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের এই কর্মকর্তা।
সেনাবাহিনী থেকে অবসর নেয়ার পর বিএনপিতে যোগ দিয়ে পরবর্তী নির্বাচনগুলোতে বোনের আসনে কাজ করেন সাঈদ।
২০০১ সালে অষ্টম সংসদ নির্বাচনে ফেনী-১ আসনে খালেদা জিয়ার প্রধান নির্বাচন সমন্বয়কারীর দায়িত্ব পালন করেন। পরে খালেদার ওই আসনে সংসদ সদস্য হন তিনি।
সেনাবাহিনী থেকে অবসরের পর ব্যবসা শুরু করেন সাঈদ এস্কান্দার। তিনি ড্যান্ডি ডাইং ও ড্যান্ডি ফুড প্রডাক্টসের চেয়ারম্যান ছিলেন। ইসলামিক টেলিভিশনেরও অন্যতম উদ্যোক্তা তিনি।
Leave a Reply