শীর্ষবিন্দু আন্তর্জাতিক নিউজ ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের প্রতিনিধি পরিষদে নতুন একটি বাজেটের বিষয়ে রিপাবলিকান ও ডেমক্রেট সদস্যরা একমত হতে না পারায় নতুন সরকারি ব্যয় বরাদ্দ বন্ধ হয়ে গেছে। এতে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কার্যক্রম ও সেবা বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে বা বন্ধ হয়ে গেছে। এই পরিস্থিতিতে কোন কোন খাত কি বিপর্যয়ে পড়েছে তা বিবিসি অবলম্বনে নিচে তুলে ধরা হল।
প্রয়োজনীয় বাজেটের অভাবে কার্যক্রম ব্যাহত হয়ে বন্ধ হয়ে গেছে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় সরকারি সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান স্মিথসোনিয়ান ইন্সটিটিউট। এতে বন্ধ হয়ে গেছে ইন্সটিউটের নিয়ন্ত্রণাধীন ১৯ জাদুঘর, গ্যালারি এবং জাতীয় চিড়িয়াখানাগুলো।
যুক্তরাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের অধীন ন্যাশনাল পার্ক সার্ভিসও বন্ধ হয়ে গেছে। এর আওতাধীন স্ট্যাচু অব লিবার্টি পার্ক, ইয়োসেমাইট ন্যাশনাল পার্ক, আলকাতরাজ রিক্রিয়েশন এরিয়ার কার্যক্রমও বন্ধ রয়েছে।
দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ৪ লাখ কর্মী এতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ৪০ হাজার ২শ’ জন কর্মী, পরিবহন মন্ত্রণালয়ের ১৮ হাজার ৫শ’ ও জ্বালানী মন্ত্রণালয়ের ১২ হাজার ৭শ’ কর্মী ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
তবে এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোল, জাতীয় নিরাপত্তা ও নিউক্লিয়ার অস্ত্র এবং নিউক্লিয়ার জ্বালানী খাত এর আওতা বহির্ভুত থাকবে।
যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম আলোচিত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অল্প সময়ের জন্য তাদের কার্যক্রম চালিয়ে নিতে পারবে। তবে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় তাদের সামরিক অভিযানগুলো অব্যাহত রাখতে সক্ষম হবে।
তবে ফেডারেল রিজার্ভ, হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ ও বিচার বিভাগে তেমন বিরুপ প্রভাব পড়বে না। যুক্তরাষ্ট্রের পোস্টাল বিভাগে স্বাভাবিক কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারবে।
দেশটির শিক্ষা মন্ত্রণালয় সরকারি স্কুলগুলোর জন্য বরাদ্দ ২২ বিলিয়ন ডলার বিতরণ করতে পারবে, কিন্তু এই মন্ত্রণালয়ের কর্মীরা মারাত্মক পরিস্থিতির মুখোমুখি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জ্বালানী মন্ত্রণালয় তাদের ১২ হাজার ৭শ’ কর্মীকে বাড়িতে পাঠিয়ে দিতে বাধ্য হবে, পরবর্তীতে নিউক্লিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র রক্ষণাবেক্ষণের সঙ্গে জড়িত আরো ১১শ’ ১৩ জনেরও একই ভাগ্য বরণ করতে হতে পারে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও মানবিক সেবা বিভাগের অর্ধেক কর্মীকে বাসায় পাঠিয়ে দেয়া হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।