শীর্ষবিন্দু নিউজ ডেস্ক: দলীয় নেতৃত্বের আস্থা ভোটের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে সর্বস্ব দিয়ে লড়াইয়ের ঘোষণা দিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। তিনি সতর্ক করেছেন, কনজারভেটিভ পার্টির দলীয় নেতৃত্বে পরিবর্তন আসলে ব্রেক্সিট বিলম্বিত হতে পারে।
অনিশ্চয়তার মুখে হুমকিতে পড়তে পারে যুক্তরাজ্যের ভবিষ্যত। বুধবার ১২ ডিসেম্বর থেরেসার বিরুদ্ধে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটের ডাক দেওয়ার পর এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন তিনি।
যুক্তরাজ্যের স্থানীয় সময় রাতেই বাংলাদেশ সময় ১৩ ডিসেম্বর, রাত ১২টা দলীয়নেতৃত্ব প্রশ্নে আস্থা ভোটের মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।
দলীয় নেতৃত্ব প্রশ্নে নতুন করে প্রতিযোগিতা আয়োজনের আহ্বান জানিয়ে কনজারভেটিভ পার্টির ১৯২২ কমিটি’তে ন্যুনতম ৪৮টি চিঠি জমা হওয়ার পর চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছেন থেরেসা মে।
আস্থা ভোটে হেরে গেলে প্রধানমন্ত্রিত্ব হারাতে হবে তাকে। ব্রিটিশ সংবিধান অনুযায়ী, সরকার গঠনকারী দলের প্রধানই প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।
আস্থা ভোটকে সামনে রেখে বুধবার (১২ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে থেরেসা মে বলেন, ২১ জানুয়ারির নির্ধারিত আইনি সময়সীমার মধ্যে নতুন একজন নেতাকে স্থলাভিষিক্ত করা যাবে না।
এমন অবস্থায় নেতৃত্ব নির্ধারণ প্রশ্নে নির্বাচন আয়োজনের কারণে ব্রেক্সিট আলোচনার নিয়ন্ত্রণ পার্লামেন্টে বিরোধী এমপিদের হাতে চলে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। নতুন নেতা ব্রেক্সিট চুক্তি নিয়ে পুনঃআলোচনা করার সময় পাবেন না এবং ২৯ মার্চ নাগাদ আইন পাস করাতে পারবেন না।
সুতরাং সবার আগে তার কাজ হবে আর্টিকেল ফিফটি বাতিল করা কিংবা এর সময়সীমা বাড়ানো, ব্রেক্সিট বিলম্বিত করা কিংবা ব্রেক্সিট একেবারে থামিয়ে দেওয়া; অথচ আমাদের জনগণ চায় আমরা ব্রেক্সিট বাস্তবায়নের কাজ চালিয়ে যাই।
থেরেসা মে মনে করেন, নেতৃত্ব প্রশ্নে নির্বাচন দিয়ে আলোচনার মৌলিক বিষয়বস্তু কিংবা সংসদীয় গণিতকে পরিবর্তন করা যাবে না। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা আমাদের বিচ্ছিন্ন করতে গিয়ে যদি কয়েক সপ্তাহ নষ্ট করে ফেলি, তবে তা কেবল আরও বিভাজনই তৈরি করবে।
দেশের সেবায় আমাদের একসঙ্গে দাঁড়াতে হবে। ওইসবে আমাদের জাতীয় স্বার্থ পূরণ হবে না। তাতে কেবল জেরেমি করবিন ও ম্যাকডনেলের স্বার্থ রক্ষা হবে।