শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:৫৬

উতরে গেলেন থেরেসা মে: আস্থা ভোটে জয়

উতরে গেলেন থেরেসা মে: আস্থা ভোটে জয়

শীর্ষবিন্দু আন্তর্জাতিক নিউজ ডেস্ক: যুক্তরাজ্যের সংসদে বুধবার (১২ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত আস্থা ভোটে উতরে গেছেন প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে।

ব্রিটিশ হাউজ অব কমন্সে থেরেসা মের পক্ষে ভোট দিয়েছেন কনজারভেটিভ পার্টির ২০০ জন সংসদ সদস্য। বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছেন ১১৭ জন।

সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, এই ফলাফলের মাধ্যমে আরও অন্তত এক বছরের জন্য কনজারভেটিভ পার্টির সংসদীয় প্রধানের পদ নিশ্চিত করলেন মে। এই সময়ের মধ্যে তার বিরুদ্ধে আর আস্থা ভোটের দাবি গৃহীত হবে না।

ইইউ থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে যাওয়ার শর্ত নির্ধারণে যে ব্রেক্সিট যুক্তির খসড়া প্রস্তুত করেছেন, তা নিয়েই অনাস্থার সূত্রপাত। এনিয়ে দুই দুই জন ব্রেক্সিটবিষয়ক মন্ত্রীর পাশাপাশি পদত্যাগ করেছিলেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীও। এ ধারা থামেনি।

একে একে আরও কয়েকজনের সঙ্গে সর্বশেষ যুক্তরাজ্যের বিজ্ঞান ও বিশ্ববিদ্যালয় বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী পদত্যাগ করেন মের ব্রেক্সিট বিষয়ক চুক্তির বিরোধিতা করে। এমন অবস্থায় খোদ ব্রিটিশ কনজারভেটিভ পার্টির সদস্যরাই তার বিরুদ্ধে অনাস্থা জানান।

আস্থা ভোটের ডাক দেওয়ার জন্য দরকার ছিল ৪৮ জন কনজারভেটিভ পার্টির সংসদ সদস্যের আবেদন। দলের কাছে সেই ৪৮ জনের আবেদন জমা পড়ার প্রেক্ষিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে ভোটাভুটি। টিকে থাকার জন্য মের দরকার ছিল ১৫৯ ভোট। ১৭৪ জন টোরি এমপি ভোটের আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন, তারা মের পক্ষে ভোট দেবেন। আর বিপক্ষে ভোট দেওয়ার কথা প্রকাশ্যে জানিয়েছিলেন ৩৪ জন।

ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পর যোগাযোগ মন্ত্রী ক্রিস গ্রেলিং বলেছেন, এটা একটা কঠিন দিন ছিল তাদের জন্য। তবে দিন শেষে মে ব্যাপক সংখ্যক সংসদ সদস্যের ভোট পেয়েছেন। কনজারভেটিভ পার্টি এই ফলাফল থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনের দিকে আগাবে। প্রধানমন্ত্রী মেরও এখান থেকে শেখার আছে। তিনি আরও উল্লেখ করেছেন, ২০১৬ সালে মের নেতৃত্বের প্রতি যত জন সংসদ সদস্য সমর্থন জানিয়েছিলেন, এবার তার চেয়েও বেশি কনজারভেটিভ সংসদ সদস্যের ভোট পেয়েছেন তিনি।

আস্থা ভোটে দলের ২০০ জন সংসদ সদস্য মের পক্ষে ভোট দিয়েছেন। কিন্তু বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছেন ১১৭ জন। ক্রিস গ্রেলিং ২০০ এমপির সমর্থন পাওয়াটাকে বড় জয় হিসেবে দেখছেন।

কিন্তু সমালোচকরা বলেছেন, যিনি নিজ দলের ১১৭ জন সংসদ সদস্যের সমর্থন হারিয়েছেন তার নেতৃত্বে থাকা উচিত নয়। শ্যাডো চ্যান্সেলর ম্যাকডোনেল টুইটার বার্তায় ১১৭ জনের অনাস্থা জানানোর বিষয়টি উল্লেখ করেই বিস্ময় প্রকাশ করেছেন।

রাজনৈতিক দল এসএনপির সংসদ সদস্য আয়ান ব্ল্যাকফোর্ডও ১১৭ জনের অনাস্থার বিষয়টিকে সামনে এনেছেন। তার ভাষ্য, ওই ১১৭ জন কনজারভেটিভ সংসদ সদস্যের মতো তার দলও চায় না মের সরকার টিকে থাকুক।

কিন্তু মে জিতেছেন এবং আগামী এ বছরের জন্য কনজারভেটিভ নেতৃত্ব থেকে তাকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য কোনও আস্থা ভোটের আবেদন গৃহীত হবে না। এসময়ের মধ্যে মে ব্রেক্সিট বাস্তবায়ন চুক্তি, বিশেষ করে নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডর বিষয়টি নিয়ে ইইউ নেতাদের সঙ্গে আবার আলোচনায় বসতে পারবেন।




Comments are closed.



পুরানো সংবাদ সংগ্রহ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০৩১  
All rights reserved © shirshobindu.com 2012-2024