মাইক্রোসফটের উইন্ডোজ-৮ অপারেটিং সিস্টেম চালিত সারফেজ ট্যাবলেটের টাচস্ক্রিন ব্যবহারে সমস্যাদেখা দিয়েছ। এজন্য ব্যবহারকারীরা পড়েছেন বিপাকে। চুম্বকের মাধ্যমে ডিভাইটির সঙ্গে জোড়া দেয়া টাচ কভারের এক প্রান্ত প্রায়ই খুলে যায়। জাতীয় দৈনিক গার্র্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে ব্যাপক রহস্য বে হয়ে আসে লক্ষ লক্ষ ব্যবহারকারীদের মধ্যে হতাশা দেখা দিয়েছে।
গত জুনে ব্যাপক জনপ্রিয় এই সারফেজ উন্মচন করা হয় ব্যবহারকারী অতি আগ্রহের কারণে। কিন্ত আশানুলুর সাড়া দিতে পারেনি এই ট্যাবলেট। খুবই আকর্ষনীয় নকশা, পাতলা ও হালকা ওজনের ট্যাবলেট টি বাজারে গুরুত্বপূণ অংশ দখল করে নেয প্রথমেই। এর ওজন মাত্র ৬৭৬ গ্রাম। পাতলা ৯ দশমিক ৩ মিলিমিটার। ১০ দশমিক ৬ ইঞ্চির পর্দায় রয়েছে হাইডেফিনেশন ডিসপ্লে। ব্যবহারকারীদের বিপুল আগ্রহের পরিসমাপ্তি ঘটাতে খুবই অনাড়ম্বরে গত বছরের ২৬ অক্টোবর ট্যাবলিটটি প্রথমবারের মতো বাজারে নিয়ে আসে জনপ্রিয় অপারেটিং কোম্পানী মাইক্রোসফট।
বর্তমান ট্যাবলেট মার্কেটে জনপ্রিয় অবস্থানে রয়েছে এ্যাপল।বাজারের প্রায় ৫০ শতাংশ প্রতিষ্টানের দখলে প্রতিষ্টানটির বাজার দখল প্রায় ১৮ শতাংশ গাডিয়ানের প্রতিবেধন অনুযায়ী, ট্যাবলেট ব্যবহারকারীদের মধ্যে অনেকের সাথে আলাপকালে জানা যায়, সারপেজের ট্যাবলেট কাভারটি একটি চুম্বকের মাধ্যেমে ডিভাইসের সঙ্গে যুক্ত। কয়েকটি নিয়মিত ব্যবহার করার পর ডিভাইস থেকে টাচ কাভারের এক প্রান্ত খুলে চলে আসে। সারফেজ ট্যাবলেটের ব্যবহারকারীদের মধ্যে প্রায় সবাই ফোরামে এ অভিযোগ করেন।
প্রযুক্তি ওয়েবসাইট ভার্জের লেখক টম ওয়ারেন এরকম ক্রটি দেখতে পান। গার্ডিয়ানকে তিনি বলেন, ডিভাইসটির সঙ্গে জোড়া লেগে থাকা টাচ কাভারের এক প্রান্ত হঠাৎ করেই উঠে এলো। আমি অবাক কিভাবে এটি সম্ভব। দেখলাম অনেকেই সমান অভিযোগ করছেন।জনাব ওয়ারেন জানান, তিনি যোগাযোগ করেন মাইক্রোসফটের সঙ্গে এ বিষয়ে সামধানের কোন উপায় বের করার জন্য।কতৃপক্ষ তাকে ট্যবলেটটি ফেরত দিয়ে নতুন একটি ট্যাবলেট প্রদানে আগ্রহ প্রকাশ করেন।
মাইক্রোসফটের প্রধান নির্বাহী স্টিভ বলমার বলেন, সারফেসে ট্যাবলেটে গ্রাহকদের আগ্রহ বাড়ছে।তবে কি পরিমাণ ট্যাবলেট বিক্রি হয়েছে সে সম্পকে কিছু বলেন নি।তবে তিনি বলেন, সারফেজ ট্যাবলেট দিয়ে প্রথমেবারের মতো ট্যাবলেট বাজারে যুেএধ নামে মাইক্রোসফট। ।আশার কথা হলো মাইক্রোসফটের নতুন অপারেটিং সিস্টেম উইন্ডোজ-৮ টাচ ডিভাইসে ব্যবহারের জন্য বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান এই নির্বাহী।
এ বিষয়ে সত্যতা যাচাইয়ের জন্য গার্ডিয়ান যোগাযোগ করার চেষ্টা করে মাইক্রোসফট কতৃপক্ষের সঙ্গে। তারা কোন ধরনের মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে তারা জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে তারা এটি বিনামূল্য প্রতিস্থাপন করে দিচ্ছেন।
Leave a Reply