শীর্ষবিন্দু আন্তর্জাতিক নিউজ ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার সঙ্গে করা ইন্টারমিডিয়েট রেঞ্জ নিউক্লিয়ার ফোর্সেস (আইএনএফ) চুক্তি থেকে বেরিয়ে গেলে বিশ্বব্যাপী নতুন করে অস্ত্র প্রতিযোগিতা শুরুর আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এই চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ফলে যুক্তরাষ্ট্র পরমাণু অস্ত্র ভাণ্ডারকে আরও আধুনিকায়নেরও সুযোগ পাবে। ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি এখবর জানিয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শনিবার থেকে পরমাণু চুক্তিটির প্রতি দায়বদ্ধ না থাকা এবং ছয় মাসের মধ্যে এর থেকে সম্পূর্ণভাবে বেরিয়ে আসার ঘোষণা দেন।
পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও ‘নতুন ধরনের অস্ত্র বানাতে ও পারমাণবিক অস্ত্রের আধুনিকায়ন’ করার জন্য পাল্টা এই চুক্তি থেকে রাশিয়াকে প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন।
পুতিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, ওয়াশিংটন ‘একতরফাভাবে এবং সম্পূর্ণ বিনা উস্কানিতে’ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরেই রাশিয়ার বিরুদ্ধে চুক্তিটির শর্ত লংঘনের অভিযোগ করে আসছে।
কিন্তু সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র প্রকাশ্যেই তার অস্ত্র ভাণ্ডার আধুনিকায়নের ঘোষণা দিচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র যখন ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তার নতুন পরমাণু নীতি ঘোষণা করে তখনই দেশটি সতর্ক করে বলেছিল, তারা দুটি নতুন অস্ত্র ক্রয়ের পরিকল্পনা করছে।
একটি নতুন ধরনের কম ক্ষমতাসম্পন্ন পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্র ও একটি নতুন ধরনের ক্রুজ মিসাইল, যা আইএনএফ চুক্তির লঙ্ঘন। তবে পেন্টাগন জানিয়েছে, তখনই চুক্তির লঙ্ঘন হবে যখন অস্ত্রগুলো মোতায়েন করা হবে।
যুক্তরাষ্ট্র সব সময়ই জোর দিয়ে বলে আসছে যে, ১৯৮৭ সালে মস্কোর সঙ্গে করা চুক্তিতে অস্ত্রের গবেষণা ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে কোনও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়নি।
এদিকে, পশ্চিমাদের সামরিক জোট ন্যাটো জানিয়েছে, এই চুক্তি থেকে প্রত্যাহারের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি মিত্রদের ‘পূর্ণ সমর্থন’ রয়েছে।
পাশাপাশি ন্যাটো এটাও জানিয়েছে, রাশিয়ার ৯এম৭২৯ স্থল থেকে উৎক্ষেপণযোগ্য ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র পদ্ধতি এই চুক্তির লঙ্ঘন বলে যুক্তরাষ্ট্র যে অভিযোগ করেছে সেটার সঙ্গেও তারা একমত।