শীর্ষবিন্দু নিউজ ডেস্ক: যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছু বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের সংখ্যা ১৯০ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২৪০ জনে উপনীত হয়েছে।
শতকরা হিসেবে এই বৃদ্ধির পরিমাণ ৩২ শতাংশ। ইউরোপের বাইরের দেশগুলো থেকে যুক্তরাজ্যে পড়তে আসা শিক্ষার্থীদের সংখ্যা সার্বিকভাবেই বৃদ্ধি পেয়েছে।
যুক্তরাজ্যের ‘দ্য ইউনিভার্সিটিজ অ্যান্ড কলেজেস অ্যাডমিশন সার্ভিসেসের’ (ইউসিএএস) বৃহস্পতিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) প্রকাশিত তথ্য থেকে আরও জানা গেছে, ২০১৭ সালে এই সংখ্যা ছিল ১৭০ জন।
এ বছর ২৪০ জন আবেদনকারীর তথ্য থেকে এটি নিশ্চিত নয় এখনও যে ঠিক কতজন শেষ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে পড়ার সুযোগ পাবেন। তবে আবেদনকারীর সংখ্যা বৃদ্ধির কারণে এটি স্পষ্ট যে, যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে ডিগ্রি গ্রহণের আগ্রহ বাড়ছে বাংলাদেশিদের মধ্যে।
ইউসিএএসের প্রকাশিত তথ্য থেকে এটা স্পষ্ট যে বিশ্বজুড়েই যুক্তরাজ্যে পড়তে চাওয়া শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বেড়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর শিক্ষার্থীদের মধ্যে যুক্তরাজ্যে পড়তে চাওয়াদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে ১ শতাংশ।
অইউরোপীয় দেশগুলোর শিক্ষার্থীদের আবেদনের সংখ্যা বেড়েছে ৯ শতাংশ। এ বছর যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়ার জন্য আবেদন করেছেন পাঁচ লাখ ৬১ হাজার ৪২০ জন। গত বছরের তুলনায় এ সংখ্যা প্রায় আড়াই হাজার বেশি।
ইউসিএএসের প্রধান কর্মকর্তা ক্লেয়ার মার্চেন্ট মন্তব্য করেছেন, অস্থিরতার এই সময়টাতে এটা আনন্দের সংবাদ যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও বিশ্বের অন্যান্য প্রান্তের শিক্ষার্থীরা যুক্তরাজ্যে পড়তে আসতে চাইছেন।
যুক্তরাজ্যের প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সংগঠন ‘ইউনিভার্সিটিজ ইউকে’ আগ্রহী শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বৃদ্ধির এই ঘটনাকে স্বাগত জানিয়েছে।
সংগঠনটি যুক্তরাজ্য সরকারের কাছে কিছু সংস্কার কর্মসূচি বাস্তবায়নের প্রস্তাব করেছে, যাতে ব্রেক্সিট পরবর্তীকালেও শিক্ষার্থীদের কাছে যুক্তরাজ্য পছন্দের গন্তব্য হিসেবে পরিগণিত হয়।
তাদের প্রস্তাবিত সংস্কার কর্মসূচি বাস্তবায়িত হলে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্নের পর শিক্ষার্থীরা কর্মসংস্থানের জন্য অতিরিক্ত ছয় মাস যুক্তরাজ্যে অবস্থান করতে পারবেন। এমন কি ডিগ্রি অর্জনের তিন মাস আগে থেকেই তাদেরকে যুক্তরাজ্যে চাকরি খোঁজার সুযোগ দেওয়া হবে। এই সুবিধা পিএইচডির শিক্ষার্থীদের জন্যও প্রযোজ্য হবে।
তারা তাদের স্টুডেন্ট ভিসাকে ওয়ার্ক ভিসায় পরিণত করার সুযোগ পাবেন।। যারা যুক্তরাজ্যের বাইরে চলে যাবেন, তাদেরকে দুই বছর পর্যন্ত সময় দেওয়া হবে স্টুডেন্ট ভিসাকে ওয়ার্ক ভিসায় রূপান্তরের আবেদন করার জন্য।