শীর্ষবিন্দু নিউজ ডেস্ক: ২০১৮ সালের অভিবাসন বিতর্কের পর যুক্তরাজ্য সরকারের গৃহীত উইন্ডরাশ স্কিমের আওতায় ব্রিটেনের নাগরিকত্ব পেলেন ২৪ জন বাংলাদেশী।
বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ পার্লামেন্টকে এই তথ্য জানিয়েছেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ। গত বছর কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর নাগরিকদের বিভিন্ন সুবিধা বাতিল করা হলে বাংলাদেশিরা ভুক্তভোগী হন।
সাজিদ জাভিদ জানান, নাগরিকত্ব পাওয়া বাংলাদেশিদের বেশিরভাগই ১৯৭৩ সালের আগে যুক্তরাজ্য এসেছেন। ওই সময় ব্রিটিশ নাগরিকত্ব আইনের সংশোধন হয়। বাকিরা এসেছেন পরে বা তথাকথিত উইন্ডরাশ প্রজন্ম।
ব্রিটিশ পার্লামেন্টের হোম অ্যাফেয়ার্স সিলেক্ট কমিটিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ২০১৮ সালে আমি উইন্ডরাশ স্কিম চালু করার নির্দেশ দেই। এই স্কিমের আওতায় এই প্রজন্মের সদস্য, যুক্তরাজ্যে জন্ম নেওয়া তাদের সন্তান এবং নাবালক সন্তানরা নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করার সুযোগ পেয়েছে। নাগরিকত্ব পাওয়া এই মানুষেরা টাস্কফোর্সের কাছে নিজেদের অবস্থান নিশ্চিত করেছেন। পরে তাদের ব্রিটিশ নাগরিকত্বের নথি দেওয়া হয়।
যুক্তরাজ্যে অভিবাসীদের উইন্ডরাশ প্রজন্ম নামকরণে একটি জাহাজের ভূমিকা রয়েছে। ১৯৪৮ সালে উইন্ডরাশ নামের ওই জাহাজে করে জ্যামাইকা থেকে শ্রমিকদের যুক্তরাজ্যে নিয়ে আসা হতো।
গত বছর বাংলাদেশিসহ ওই সময় যুক্তরাজ্যে আসা অভিবাসীদের রাষ্ট্রীয় সেবা পেতে সংকটে পড়লে বিতর্ক সৃষ্টি হয়। অনেককেই নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর হুমকি দেওয়া হয়। কারণ তাদের ১৯৭৩ সালের আগে ব্রিটেনে পৌঁছার কোনও নথি দেখাতে পারেননি।
কয়েক হাজার অভিবাসী এতে ভুক্তভোগী হলে যুক্তরাজ্যের সরকার ২০১৮ সালের এপ্রিলে উইন্ডরাশ টাস্কফোর্স গঠন করে। ২০১৮ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ৩ হাজার ৪০৬ জনকে এই স্কিমের আওতায় নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া বিতর্কের মুখে যুক্তরাজ্য সরকার ক্ষমা প্রার্থনা করে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ প্রদানের প্রকল্প গ্রহণ করা হয়।