শীর্ষবিন্দু নিউজ ডেস্ক: ইউরোপিয় ইউনিয়নের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনার পর ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে তার যে ব্রেক্সিট নীতিমালা তৈরি করেছেন তা পার্লামেন্টের ছাড়পত্র আদায় করতে পারে নি।
এই প্রেক্ষিতে ব্রেক্সিট চুক্তি রক্ষায় ইউরোপিয় কমিশনের প্রধান জ্য ক্লদ জাঙ্কারের সঙ্গে সমঝোতা করতে বুধবার আবার ব্রাসেলসে গিয়েছেন থেরেসা। রয়টার্স, চ্যানেল নিউজ এশিয়া
ব্রেক্সিটের বাকি হয়েছে আর মাত্র ৩৭দিন, এর মধ্যেই চুক্তি সম্পন্ন করতে হবে থেরেসাকে। থেরেসার মুখপাত্র বলেছেন, তার এই সফর অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। থেরেসা ইইউকে বিচ্ছেদ চুক্তি পুনরায় চালু করতে চেষ্টা চালাবেন।
তবে জাঙ্কারের এক সহযোগি বলেছেন, থেরেসার সাহস ও ভূমিকাকে সম্মান করেন ইউরোপিয় কমিশনের প্রধান। তার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ আলোচনা হবে বলেও আশাবাদী তিনি, তবে নতুন করে কোন সমঝোতা হবে না।
ইইউ সূত্র জানায়, ব্রেক্সিট ইস্যুতে ব্রিটেনের বর্তমান অবস্থান হতাশাজনক। গত সোমবার ব্রাসেলসে ইইউর প্রধান সমঝোতাকারী মাইকেল বার্নারকে নতুন কোন প্রস্তাব উপস্থাপন করতে পারেন নি ব্রিটেনের ব্রেক্সিট বিষয়ক সমঝোতকারী স্টেপেন বার্কলে।
এর আগে ২৫ নভেম্বর ২৭টি ইইউ দেশের নেতা ও থেরেসা মে ব্রেক্সিট চুক্তি নিয়ে ঐক্যমতে পৌঁছান। তবে ১৫ জানুয়ারি ব্রিটেনের পার্লামেন্ট তা প্রত্যাখ্যান করে।
ওই চুক্তিতে ইইউভুক্ত আয়ারল্যান্ড ও ব্রিটেনের উত্তর আয়ারল্যান্ড সীমান্ত উন্মুক্ত থাকার শর্তে ব্রিটেনকে ইইউর একক বাজারের সুবিধা ও ভবিষ্যত মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির নিশ্চয়তা দেয়া হয়েছিলো।
তবে আইরিশ সীমান্ত ইস্যুতে বাধ সাধেন কট্টর ব্রেক্সিটপন্থী ব্রিটিশ এমপিরা। এরপর থেকে থেরেসা ইউরোসেপ্টিক এমপিদের মন রক্ষা করা যায় চুক্তিতে এমন বিষয় সংযুক্ত করার জন্য ইইউ’র সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনা করে যাচ্ছেন। কিন্তু সমঝোতা করতে ব্যর্থ হলে ২৯ মার্চ চুক্তি ছাড়াই ইইউ থেকে বেরিয়ে যেতে হবে ব্রিটেনকে।
ইতোমধ্যেই চুক্তিবিহীন ব্রেক্সিট নিয়ে সতর্ক করেছেন বিশ্লেষকরা। ব্রিটেনের বৈদেশিক বাজার, অভ্যন্তরীণ ব্যবসা-বাণিজ্য, ম্যানুফ্যাকচারিং খাত ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
এক্ষেত্রে ২৯মার্চের বদলে ইইউর নীতিমালার আওতায় ব্রেক্সিটের সময় বাড়াতে বাড়তি সময়ের আবেদন করতে পারে ব্রিটেন। তবে মে বলে দিয়েছেন, নির্ধারিত সময়েই ব্রেক্সিটে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ তিনি।