শীর্ষবিন্দু্ আন্তর্জাতিক নিউজ ডেস্ক: বয়স ৮৩।৬ বছর আগে স্ট্রোক করার পর থেকে হুইলচেয়ারে চলাফেরা করেন।কথা বলতে পারেন না।তবুও তিনি ক্ষমতা ছাড়ছেন না।এমনকি আগামী মেয়াদ ক্ষমতায় থাকতে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।
বলছি আলজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট আব্দেল আজিজ বুতেফলিকারের কথা।তাকে দেশটির লোকজন ‘দ্য লিভিং ডেড’ বা জীবন্মৃত বলে ডাকে।তবে সবাই নয়, তার সমালোচকরা ডাকে এ নামে।তার সমর্থকও কম নয়।
আব্দেল আজিজ টানা চার মেয়াদে আলজেরিয়ার রাষ্ট্রপ্রধানের দায়িত্ব পালন করছেন। এপ্রিলে অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচনে পঞ্চম মেয়াদে ক্ষমতায় আসার বাসনায় অংশ নিচ্ছেন।আঞ্চলিক রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, এবারের ভোটেও তিনি জিতে যেতে পারেন।কারণ তার সমর্থন কোনো অংশেই কম নয়।
২০১৩ সালে স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে আব্দেল আজিজ কার্যত পক্ষাঘাতগ্রস্ত।গত সাত বছর তিনি প্রকাশ্যে কোনো অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করতে পারেননি। তার অবস্থা নিয়ে এতই অনিশ্চয়তা যে গত সোমবার প্যারিসে আলজেরিয়ার রাষ্ট্রদূতকে একটি বিবৃতি দিতে হয়েছিলো যে প্রেসিডেন্ট এখনও জীবিত আছেন।
এমতাবস্থায় ফের ক্ষমতায় আসতে নির্বাচনে লড়ছেন আবদেল আজিজ। সেজন্য সুইজারল্যান্ডে চিকিৎসতা নিচ্ছেন। আঞ্চলিক পর্যবেক্ষকদের মতে ১৮ই এপ্রিলের ভোটে তিনি জিতেও যেতে পারেন। যদিও ২০ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকার পর শাসনক্ষমতা দীর্ঘায়িত করার চেষ্টার বিরুদ্ধে ক্ষোভও দেখা যাচ্ছে অনেক।
সারাদেশে লাখ লাখ মানুষ বিশেষ করে তরুণরা শুক্রবারও রাস্তায় নেমে এসেছিলো অসুস্থ প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে অংশ নিতে। পরে রোববার রাতে প্রেসিডেন্টের একটি চিঠি পড়ে শোনানো হয়েছে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে। যেখানে তিনি বলেন, প্রতিবাদকারীদের কান্না আমি শুনেছি। প্রেসিডেন্ট পদে পুননির্বাচিত হলে আমি আলজেরিয়ায় রাজনৈতিক সংস্কার আনব।
এ বিষয়ে উত্তর আফ্রিকা বিশেষজ্ঞ ক্রিস্টিনা মাস বলেন, বিরোধীরা তাকে ‘দা ফ্রেম‘ও বলে থাকেন। কারণ অসুস্থতা ও কোনো অনুষ্ঠানে যোগ দিতে না পারা। এমনকি প্রার্থিতা ঘোষণার দিনসহ অনেক অনুষ্ঠানেই তার বাধাই করা ছবি রাখা হয়েছিলো তার নিজের উপস্থিতির পরিবর্তে।
৯০ এর দশকে গৃহযুদ্ধের মধ্য দিয়ে উত্থান হয়েছিল প্রেসিডেন্ট বুতেফলিকার। ১৯৯৯ সালে ক্ষমতায় আসেন আব্দেল আজিজ।