শীর্ষবিন্দু নিউজ ডেস্ক: রাজবধূদের নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে বিদ্রুপাত্মক ও ঠাট্টাজনিত মন্তব্যকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম প্রটোকল এনেছে ব্রিটিশ রাজপরিবার। এই প্রটোকলে সহনশীলতা প্রদর্শনের আহ্বান জানানো হয় এবং সম্ভাব্য পুলিশি পদক্ষেপ গ্রহণের সতর্ক বার্তা দেয়া হয়। ইয়াহু নিউজ, এবিসি
বাকিংহাম প্যালেস, ক্ল্যারেন্স হাউস এবং কেনসিংটন প্যালেস থেকে দেয়া এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নীতিমালায় ব্রিটিশ রাণী এলিজাবেথ, তার ছেলে এবং সিংহাসনের উত্তরাধিকার প্রিন্স চার্লস ও তার দুই ছেলে প্রিন্স উইলিয়াম ও প্রিন্স হ্যারি তাদের চ্যানেলে ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
এই নীতিমালায় বলা হয়, আমাদের চ্যানেলের সঙ্গে সম্পৃক্ত সবাইকে আমরা সহনশীলতা, শ্রদ্ধা এবং সম্মান প্রদর্শনের আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা যে কোন ধরনের অসংলগ্ন, বর্ণবাদী, অপ্রাসঙ্গিক এবং বৈষম্যমূলক মন্তব্য প্রয়োজন মনে করলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে তদন্তের জন্য পাঠাতে পারি। তবে কি কারণে প্রাসাদ থেকে এই বিবৃতি দেয়া হয়েছে তা বলা হয়নি।
প্রসঙ্গত, প্রিন্স হ্যারি ও মেগান মের্কেলের বিয়ের পর থেকেই সামাজিক মাধ্যমে দুই রাজবধূর সম্পর্ক এবং মেগানের সম্পর্কে বর্ণবাদী, আক্রমণাত্মক ও বিদ্রুপাত্মক মন্তব্য করেন সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারকারীরা।
ব্রিটিশ ট্যাবলয়েডগুলোও কেট–মেগানের সম্পর্ক নিয়ে রসাত্মক গল্প ফাঁদাসহ দুই জা’য়ের মধ্যকার ঝগড়া–ঝাঁটির খবর নিয়মিত প্রকাশ করে আসছে।
কয়েকদিন আগে হলিউড অভিনেতা জর্জ ক্লুনি মেগানের প্রতি ব্রিটিশ গণমাধ্যমের অবস্থানের তীব্র সমালোচনা করে বলেন, প্রিন্সেস ডায়ানার মতোই পাপারাজ্জিদের হয়রানির শিকার হচ্ছেন মেগান।