সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:২০

শাহনাজ রহমতউল্লাহর ছেলেমেয়ের অনুস্থিতিতে জানাযা সম্পন্ন

শাহনাজ রহমতউল্লাহর ছেলেমেয়ের অনুস্থিতিতে জানাযা সম্পন্ন

শীর্ষবিন্দু নিউজ ডেস্ক: রাজধানীর বনানীর সম্মিলিত সামরিক বাহিনীর কবরস্থানে ২টা ৪০ মিনিটে চিরনিদ্রায় শায়িত হন বাংলা সংগীতের প্রখ্যাত কন্ঠশিল্পী শাহনাজ রহমতউল্লাহ। রাজধানীর বনানীস্থ সম্মিলিত সামরিক বাহিনীর কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে নন্দিত এই কণ্ঠশিল্পীকে

তবে শেষবারের মতো মায়ের মুখ দেখার সুযোগ পাননি সদ্য প্রয়াত এই শিল্পীর দুই সন্তান। মেয়ে নাহিদ রহমতউল্লাহ থাকেন লন্ডনে আর ছেলে সায়েফ রহমতউল্লাহ থাকেন কানাডায়। ভিসা ঝামেলার কারণে সময় লাগবে জন্য তাদের ছাড়াই দাফন সম্পূর্ণ করা হয়

ছেলেমেয়েকে ছাড়াই দাফনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শিল্পীর স্বামী স্বামী মেজর (অব.) আবুল বাশার রহমত উল্লাহতিনি গণমাধ্যমে বলেন, ‘ছেলেমেয়ের এসে পৌঁছাতে কত সময় লাগবে সেটা নিশ্চিত নয়। বিদেশের ব্যাপার। তাই মরদেহ নিয়ে অপেক্ষা করা হয়নি। তারা এলে মায়ের দোয়া অনুষ্ঠানে অংশ নেবে। আপনার সবাই দোয়া করবেন আমার স্ত্রীর জন্য।

এর আগে বাদ জোহর প্রয়াত শাহনাজ রহমতুল্লাহর একমাত্র জানাজা অনুষ্ঠিত হয় বারিধারার নম্বর রোডের পার্ক মসজিদে। গত শনিবার (২৩ মার্চ) দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর বাড়িধারার নিজ বাসায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর

শাহনাজ রহমতউল্লাহর স্বামী মেজর (অব.) আবুল বাশার রহমতউল্লাহ ব্যবসায়ী, ছেলে কে এম সায়েফ রহমতউল্লাহ কানাডায় থাকেন, মেয়ে নাহিদ রহমতউল্লাহ থাকেন লন্ডনে

প্রখ্যাত এই সংগীত শিল্পী ১৯৫২ সালে জন্ম নিয়ে মাত্র ১১ বছর বয়সে ১৯৬৩ সালে রেডিও এবং চলচ্চিত্রের মাধ্যমে গানে জগতে প্রবেশ করেন। টেলিভিশনে ১৯৬৪ সালে প্রথম গান করেন। পাকিস্তানে থাকার সুবাদে করাচি টিভিসহ উর্দু ছবিতেও গান করেছেন। দেশীয় গানে সবার শীর্ষে আছেন শাহনাজ রহমতউল্লাহ। তার উল্লেখযোগ্য গানগুলোর মধ্যে আছেপ্রথম বাংলাদেশ আমার শেষ বাংলাদেশ’, ‘আমার দেশের মাটির গন্ধে’, ‘আমায় যদি প্রশ্ন করে’, ‘একবার যেতে দে না আমার ছোট্ট সোনার গাঁয়’, ‘এক নদী রক্ত পেরিয়ে’, ‘একতারা তুই দেশের কথা বল রে আমায় বল’ ‘যে ছিলো দৃষ্টির সীমানায়প্রভৃতি

এছাড়া বিবিসির ২০০৬ সালের মার্চ মাসের জরিপে সর্বকালের সেরা ২০টি বাংলা গানের তালিকায় শাহনাজ রহমতুল্লাহর চারটি গান স্থান পায়। এগুলো হলো, ‘এক নদী রক্ত পেরিয়ে’, ‘জয় বাংলা বাংলার জয়’, ‘একবার যেতে দে না আমার ছোট্ট সোনার গাঁয়একতারা তুই দেশের কথা বলরে এবার বল

শাহনাজ রহমতউল্লাহ ১৯৯০ সালেছুটির ফাঁদেছবিতে গান গেয়ে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান। ১৯৯২ সালে পান একুশে পদক।চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ডএর সৌজন্যে তিনি পেয়েছেন আজীবন সম্মাননা। এছাড়া গান গেয়ে অসংখ্য পুরস্কার পেয়েছেন তিনি

উল্লেখ্য, শাহনাজ রহমতুল্লাহর বড় ভাই সুরকার আনোয়ার পারভেজ, আরেক ভাই নায়ক গায়ক জাফর ইকবাল




Comments are closed.



পুরানো সংবাদ সংগ্রহ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০৩১  
All rights reserved © shirshobindu.com 2012-2024