শীর্ষবিন্দু আন্তর্জাতিক নিউজ: যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলাইনার চার্টার ডে স্কুল পোশাক-বিধি হিসেবে স্কার্ট পরতেই হবে জানালে ২০১৬ সালে বাধ্য হয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আদালতে যায় তিন ছাত্রী।
আগুন লাগলে কী ভাবে প্রাণ বাঁচিয়ে পালাতে হবে, যুদ্ধ লাগলেই বা কী করা উচিত স্কুলে মাঝেমধ্যেই সেই মহড়া হয়। কখনও হামাগুড়ি দিয়ে, মাথা নিচু করে, নানা কায়দায় বিভিন্ন কসরতে অংশ নিতে হয় ছাত্রছাত্রীদের। কিন্তু মহড়া হলেই বিপাকে পড়ে তটস্থ হয়ে থাকত ছাত্রীরা।
স্কার্ট পরে এধরনের মহড়ায় কাপড় সরে গিয়ে সে এক বিচ্ছিরি কা-। সহপাঠীদের সামনে অস্বস্তিতে পড়তে হত। কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষ এ সমস্যায় পাত্তাই দেয়নি। অন্তত ড্রিলের দিনগুলো প্যান্ট পরার আর্জি জানিয়েছিল ছাত্রীরা।
স্কুল জানিয়েছিল, পোশাক-বিধি মানতেই হবে ছাত্রীদের। এ নিয়ে মামলায় রায় ঘোষণা হলো গত সপ্তাহে। ইস্টার্ন ডিসট্রিক্ট কোর্টের বিচারক রায় দিয়েছেন, ছাত্রীদের এই পোশাক-বিধি অসাংবিধানিক।
এখনও স্কুল কর্তৃপক্ষ দাবি করছে, স্কুলের বিভিন্ন নিয়মের মতোই এই পোশাক-বিধি ছিল। শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিষ্ঠা, সামাজিক সচেতনতা, সম-মানসিকতা তৈরি করতেই তা আরোপিত ছিল। কিছু শিক্ষার্থীর এ নিয়ে আপত্তি ছিল, সবার নয়। তারাই একশো জনের সই সংগ্রহ করে বিষয়টি আদালতে নিয়ে যায়।
বিচারক ম্যালকম হাওয়ার্ড অবশ্য জানিয়ে দিয়েছেন, মার্কিন সংবিধানের সম-সুরক্ষা আইন লঙ্ঘন করেছে ওই স্কুল। স্কুলের ছাত্র ও ছাত্রীদের সমান সুযোগসুবিধা দেওয়া হয়নি।
আদালতের রায়ে উচ্ছ্বসিত শিক্ষার্থীরা। সাবেক ছাত্রী কেলি বার্কস বলেন, ‘শুধু মনে হত, আমাদেরও যদি মহড়ার সময়ে স্কার্টের পরিবর্তে প্যান্ট পরতে দিত। এত দিনে সুবিচার মিলল। ছাত্রীরা জিতলের।’