শীর্ষবিন্দু নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে বৃহৎ আকারে প্লাস্টিক বর্জ্য রিসাইকেল করার পরিকল্পনা করছে ব্রিটিশ সরকার।
দেশটির ডিপার্টমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ডিএফআইডি) ঘোষণা দিয়েছে, তারা বাংলাদেশে ৩০ লাখ পাউন্ড মূল্যমান পর্যন্ত প্লাস্টিক বর্জ্য রিসাইকেল করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে।
একটি পাইলট প্রজেক্টের অংশ হিসেবে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে আগামী বছরগুলোতে প্রকল্পটিতে প্লাস্টিকের রিসাইক্লিং বা পুনর্ব্যবহারযোগ্যতা আরও বাড়ানোর বিষয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে।
প্লাস্টিক দূষণের বিরুদ্ধে ব্রিটিশ সরকারের উদ্যোগের অংশ হিসেবে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে প্লাস্টিকের পুনর্ব্যবহারের হার বাড়াতে আগ্রহী যুক্তরাজ্য। এর অংশ হিসেবে যুক্তরাজ্যের ডিপার্টমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট জানিয়েছে, বাংলাদেশের তাদের পাইলট প্রজেক্টের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে দেশটির উদীয়মান তৈরি পোশাক শিল্প খাত।
যুক্তরাজ্যের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রী পেনি মরডান্ট বলেছেন, পাইলট প্রজেক্টটি স্থানীয় প্লাস্টিকের পুনর্ব্যবহারের গুণগত মান বাড়ানো, বিশেষ করে তৈরি পোশাক উৎপাদন শিল্পের সঙ্গে কাজ করবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে প্লাস্টিক থেকে উৎপাদিত সিনথেটিক উপাদানের চাহিদা বছরে প্রায় পাঁচ লাখ ৪০ হাজার টন। এর মধ্যে মাত্র ১০ শতাংশই রিসাইকেল হওয়া সিনথেটিক। বাকিগুলো আসে পেট্রোকেমিক্যাল খাত থেকে।
ডিএফআইডি বলছে, প্লাস্টিক বর্জ্যের অপব্যবস্থাপনা সবচেয়ে বেশি হয় পানিতে থাকা বর্জ্যের ক্ষেত্রে।
পেনি মরডান্ট বলেন, আমরা প্লাস্টিকের ব্যবহার হ্রাস এবং দরিদ্র দেশগুলোতে প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বিষয়টি আরও উন্নত করার উপায়গুলো জরুরিভিত্তিতে খুঁজে বের করতে হবে।
যুক্তরাজ্যের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রী পেনি মরডান্ট বলেন, ব্রিটিশ সরকার কমনওয়েলথ ক্লিন ওশান অ্যালায়েন্সে স্বাক্ষর করা ১৯টি উন্নয়নশীল দেশকে ১০ মিলিয়ন পাউন্ড সহায়তায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিনি বলেন, প্লাস্টিক দূষণ কমানো, জীবিকার উন্নয়, বর্জ্য সংগ্রহ এবং রিসাইকেল পরিকল্পনার জন্য উন্নয়নশীল দেশগুলোতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণে বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ নিতে হবে।