সমীরণ রায়: বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে কারামুক্ত করার প্রচেষ্টা সফলতার দিকে এগুচ্ছে। সেই অগ্রগতির প্রথম ধাপ হচ্ছে বিএনপির অধিকাংশ নির্বাচিত সদস্য সংসদে ইতোমধ্যে যোগ দিয়েছেন।
অন্যদিকে, খালেদা জিয়ার জামিনের আইনি প্রচেষ্টাও নতুন উদ্যমে শুরু করেছেন তার আইনজীবীরা।
আওয়ামী লীগের শীর্ষ স্থানীয় একটি সূত্র জানাচ্ছে, খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার প্রয়োজনে আইনি প্রক্রিয়ায় তার কারামুক্তিতে এখন আওয়ামী লীগের হাইকমান্ডে প্রবল বিরোধিতা নেই।
সর্বশেষ মনে করা হচ্ছে, খালেদা জিয়া জামিনে কারামুক্ত হতে পারেন। প্যারোলে মুক্তির সম্ভাবনা কিছুটা কম।
উল্লেখ্য, সর্বশেষ সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ বিষয়ে বলেছিলেন, প্যারোলে কাউকে মুক্তি দিতে হলে সরকারের কাছে আবেদন করতে হয়। সেটা খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে করা হয়নি। সুতরাং আবেদন ছাড়া প্যারোলে মুক্তি বিবেচনা করা সম্ভব নয়।
বিএনপি এখন অন্য যে কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচির চেয়ে খালেদা জিয়ার কারা মুক্তিতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে, এটা স্পষ্ট। এবং আওয়ামী লীগের শীর্ষ মহল থেকেও খালেদা জিয়ার কারামুক্তি বিষয়ে শক্তিশালী বিরোধিতা থাকবে না বলেই ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।
তবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বা দলটি যদি দেশে-বিদেশে আগ্রাসী ও উগ্র রাজনৈতিক কর্মসূচি পরিচালনা করতে চায়, তাহলে সরকারের শীর্ষ মহলের এই ইতিবাচক মনোভাব পাল্টে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।