শীর্ষবিন্দু নিউজ: ব্রেক্সিট নিয়ে চলমান অচলাবস্থা কাটাতে ব্রিটেনে দ্বিতীয় গণভোট ও সাধারণ নির্বাচনের দাবি জোরালো হচ্ছে। লেবার দলের নেতা জেরেমি করবিনের পর এবার ব্রিটিশ অর্থমন্ত্রী ফিলিপ হ্যামন্ডও দ্বিতীয় গণভোট বা সাধারণ নির্বাচন দেয়ার বলছেন।
বৃহস্পতিবার বিবিসিকে হ্যামন্ড বলেন, যদি এমপিরা ব্রেক্সিট বিল বাস্তবায়নের কোন উপায় খুঁজে না পান তবে সিদ্ধান্ত জনগণের কাছেই ছেড়ে দেয়া উচিত, সেটি হোক সাধারণ নির্বাচন কিংবা গণভোট।
বুধবার জেরেমি করবিন বলেন, ব্রিটেন এখন চুক্তিবিহীন ব্রেক্সিট ও এমন একজন প্রধানমন্ত্রীর ঝুঁকিতে রয়েছে যিনি জনগণের ভোটে নির্বাচিত নন। ব্রেক্সিট নিয়ে রাজনৈতিক এই সংকট মোকাবেলার একমাত্র উপায় সাধারণ নির্বাচন দেয়া বা দ্বিতীয় গণভোট দেয়া। এই সময় করবিন আরো বলেন, ‘নতুন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর চুক্তিবিহীন ব্রেক্সিটের যে কোন প্রচেষ্টা লেবার দল রুখে দেবে।’
এর আগে প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে’র ব্রেক্সিট চুক্তি তিনবার পার্লামেন্টে নাকচ হওয়ায় ব্রিটেনের ইউরোপিয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাওয়া ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত পিছিয়ে যায়। ব্রেক্সিট চুক্তি করতে না পারার দায়ভার নিয়ে থেরেসার পদত্যাগের পর টোরি দলের নেতৃত্বের জন্য দাঁড়ানো কিছু প্রার্থী বলছেন, তারা কোন চুক্তি ছাড়াই ব্রিটেনকে ইইউ থেকে বের করে নেবেন।
ইতোমধ্যেই কনজারভেটিভ দলের নেতৃত্বের দৌড়ে নাম লিখিছেন ব্রেক্সিট মন্ত্রী জেমস ক্লেভারি, পরিবেশ মন্ত্রী মাইকেল গভ, স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক, পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরেমি হান্ট, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন, হাউস অব কমন্সের সাবেক নেতা আন্দ্রা লিডসন, আবাসন মন্ত্রী কিট মালথোসি, সাবেক কর্ম ও অবসরভাতা মন্ত্রী এসথার ম্যাকবি, সাবেক ব্রেক্সিট মন্ত্রী ডমিনিক রাব ও আন্তর্জাতিক উন্নয়ন মন্ত্রী রোরি স্টুয়ার্ট।