শীর্ষবিন্দু নিউজ ডেস্ক: সমর্থকদের উদ্দেশে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেওয়া বক্তব্যের ভাষাকে ২০ শতকের ফ্যাসিবাদীদের সঙ্গে তুলনা করেছেন লন্ডনের মেয়র সাদিক খান।
ট্রাম্পের লন্ডন সফরকে সামনে রেখে অবজারভারে লেখা এক নিবন্ধে সাদিক খান ট্রাম্পকে এই আখ্যা দেন। আগামী সোমবার (৩ মে) স্ত্রী মেলানিয়াকে সঙ্গে নিয়ে লন্ডন সফরে আসবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
তিন দিনের এ সফরে রানির অতিথি হিসেবে থাকবেন তিনি। ট্রাম্পকে দেওয়া হবে লাল গালিচা সংবর্ধনা। এই উদ্যোগের নিন্দা জানিয়েছেন সাদিক।
অবজারভারে প্রকাশিত নিবন্ধে তিনি লিখেছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প হলেন ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক হুমকির ভয়াবহতম নজিরগুলোর একটি। বিশ্বজুড়ে উগ্র ডানপন্থীদের উত্থান হচ্ছে। যা আমাদের কষ্টার্জিত অধিকার ও স্বাধীনতা এবং ৭০ বছরেরও বেশি সময় ধরে উদার, গণতান্ত্রিক সমাজকে সংজ্ঞায়িত করে আসা মূল্যবোধগুলোকে হুমকির মুখে ফেলছে।
সাদিক আরও বলেন, সমর্থন আদায়ের জন্য হাঙ্গেরিতে ভিক্টর অরবান, ইতালিতে ম্যাটিও সালভিনি, ফ্রান্সে মেরিন লে পেন এবং যুক্তরাজ্যে নিজেল ফারেজ বিংশ শতাব্দীর ফ্যাসিবাদীদের মতো একই রকমের বিভেদমূলক বাঁকা উক্তিগুলোকে নতুন বিদ্বেষমূলক কায়দায় ব্যবহার করছেন। এতে তারা সফলও হচ্ছেন এবং এমন জায়গায় প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম হচ্ছেন, যা কয়েক বছর আগেও চিন্তা করা যেতো না।
২০১৬ সালে সাদিক খান লন্ডনের মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে ট্রাম্পের সঙ্গে তার বিরোধ ক্রমাগত স্পষ্ট হয়েছে। বিভিন্ন সময়ে দুইজনের মধ্যে পাল্টাপাল্টি বাদানুবাদ হতে দেখা যায়।
অবজারভারে প্রকাশিত নিবন্ধে ট্রাম্প সম্পর্কে সাদিক লিখেছেন: তিনি এমন এক মানুষ যিনি আমাদের শহরে সন্ত্রাসী হামলা হওয়ার পর লন্ডনবাসীর আতঙ্কের সুযোগকে কাজে লাগাতে চেয়েছিলেন।
সাদিক খানের অভিযোগ, ট্রাম্প ব্রিটিশ উগ্র ডানপন্থী বর্ণবাদী গোষ্ঠীর টুইট ছড়িয়ে দিয়েছেন, জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে সতর্কতা দিয়ে উপস্থাপিত বৈজ্ঞানিক তথ্য-প্রমাণকে ভুয়া বলে উড়িয়ে দিয়েছেন।
আর এখন বরিস জনসনকে সমর্থন জানিয়ে কনজারভেটিভ পার্টির নেতৃত্ব নিয়ে হস্তক্ষেপের চেষ্টা করছেন। কারণ তিনি বিশ্বাস করেন, এর মধ্য দিয়ে নিজের বিভেদমূলক নীতি-পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য নাম্বার টেনের ভেতরে (ডাউনিং স্ট্রিট, ব্রিটিশ সরকারের দফতর) তিনি এক মিত্র খুঁজে পাবেন। বলেছেন লন্ডনের মেয়র।