গ্যালারী থেকে ডেস্ক: বিশ্বকাপের ডু অর ডাই ম্যাচে বাংলাদেশ। আজ জিততেই হবে। প্রতিপক্ষ আসরের অন্যতম ফেবারিট ভারত।
আর এই ম্যাচের দিকেই তাকিয়ে সারাদেশ। কোটি বাঙালির প্রত্যাশা এজবাস্টনে ভারতবধের মহাকাব্য রচনা করে সেমির আশা বাঁচিয়ে রাখবে টাইগাররা।
বিশ্বকাপে আজকের ম্যাচসহ আটটি ম্যাচ খেলছেন মাশরাফিবাহিনী। এর মধ্যে তিন জয় ও একটি পরিত্যক্ত হওয়ার সুবাদে ৭ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলে অবস্থান বাংলাদেশের। বাকি তিনটি ম্যাচেই হেরেছে। তবে এখনো শেষ হয়ে যায়নি সেমির আশা।
কোটি বাঙালির প্রত্যাশা শেষ চারে খেলবে বাংলাদেশ।
দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে অনেক সময়ই বেরিয়ে আসে সেরাটা। মরিয়া পরিস্থিতি অনেক সময় খুঁজে নেয় জয়ের পথ। আশায় বুক বাঁধছেন মাশরাফিও। নিজেদের সেরাটা খেললে ভারতকে হারানো সম্ভব বলে বিশ্বাস করেন এই টাইগার কাপ্তান।
অন্যদিকে দিন কয়েক আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ফর্মে থাকা ব্যাটসম্যান সৌম্য সরকারও জানিয়েছেন নিজেদের সেরা খেলাটা খেলতে পারলে ভারতবধ অসম্ভব নয়। টাইগারদের এত এত প্রত্যাশায় আশা বুক বেঁধেছেন সারাদেশের মানুষ। ক্রিকেট পাগল মানুষগুলোর একটাই চাওয়া এজবাস্টনে ইতিহাস গড়ে ভারতকে হারিয়ে দিক টাইগাররা। আর সেমির পথে এগিয়ে যাক।
ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের ম্যাচ মানেই এক অন্যরকম উম্মাদনা। দুই দেশের ক্রিকেট ভক্তদের মাঝে এ নিয়ে বাকযুদ্ধও কম হয় না। বিশেষ করে ২০১৫ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ভারতের পক্ষে আম্পায়ারের বিতর্কিত রায়েই এই যুদ্ধ শুরু।
তখন থেকে যে সংস্করণে, যেখানেই দেখা হয়েছে, এই দুই দলের ম্যাচে আগে উত্তেজনার পারদ দেখা গেছে তুঙ্গে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে শুরু করে মূলধারার সংবাদমাধ্যম, সমর্থক পর্যায়ে আলোচনার খোরাক মিলেছে প্রচুর।
যত দূরে থাকার চেষ্টাই করা হোক না কেন, মাঠের বাইরের সেসব বিতর্ক–আলোচনার আঁচ অনেকসময় কিছুটা হলেও স্পর্শ করে ক্রিকেটারদের। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের বাড়তি প্রত্যাশা ও উত্তেজনায় বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা চাপের মুহূর্তে ভেঙে পড়েন কিনা, এই প্রশ্ন তাই যৌক্তিকভাবেই উঠছে।
শুধু তাই নয়, এর মধ্যে নতুন বিতর্কের জন্ম নিয়েছে ভারত–ইংল্যান্ড ম্যাচ নিয়েও। রোববার অনুষ্ঠিত ওই ম্যাচে বিরাট কোহলির দল ইংল্যান্ডকে জয় উপহার দিয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে।
বলা হচ্ছে শেষ দিকে মহেন্দ্র সিং ধোনি ইচ্ছাকৃতই শট না খেলে সিঙ্গেল নিয়ে দলকে হারের দিকে নিয়ে গেছেন। অনেক ক্রিকেট বোদ্ধারাও অবাক হয়েছেন ম্যাচটি দেখে। ভারতের শক্ত ব্যাটিং লাইনআপের সামনে ইংল্যান্ডের ৩৩৮ রানের টার্গেট কোনো ব্যাপারই ছিল না। রোহিত শর্মা ও হার্দিক পান্ডিয়ার গড়ে দেয়া দারুণ জুটি ভারতকে জয়ের দিকেই নিয়ে গিয়েছিল।
কিন্তু শেষ দিকে এসে ধোনি ধীরগতি ব্যাটিং ইংল্যান্ডকে জয় পেতে সাহায্য করেছে। অথচ ওই ম্যাচের ওপরই নির্ভর করেছিল বাংলাদেশের সেমিতে ওঠা না ওঠার সমীকরণ। মাঠের বাইরের এসব বিতর্ক যেন ভারত বাংলাদেশের ম্যাচে উত্তেজনা আরো বাড়িয়ে দিয়েছে।
তবে এতসব বিতর্ক, প্রশ্ন ও উত্তেজনা সবকিছুর উত্তর মিলবে আজ এজবাস্টনে চলতে থাকা ম্যাচের পর। কোটি বাঙালির স্বপ্ন পূরণ করবে টাইগাররা। খেলবে টাইগার জিতবে টাইগার।