শীর্ষবিন্দু আন্তর্জাতিক নিউজ ডেস্ক: নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে গুলি চালিয়ে হত্যাকাণ্ডের জেরে নাগরিকদের আধা স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র জমা নিচ্ছে দেশটির সরকার। সরকার ঘোষিত ‘বাইব্যাক’ স্কিমের আওতায় নিউজিল্যান্ডের নাগরিকরা তাদের আধা স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র জমা দিচ্ছেন।
কাতারভিত্তিক বার্তাসংস্থা আল জাজিরার খবরে বলা হয়, শনিবার ক্রাইস্টচার্চে অস্ত্র জমা নেয়ার মাধ্যমে নিউজিল্যান্ডব্যাপী অস্ত্র জমা নেয়ার ও বিনিময়ে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার এই কার্যক্রম শুরু হয়। সরকারের নতুন ওই প্রকল্পের আওতায় ক্রাইস্টচার্চে ২০০ এর বেশি অস্ত্র জমা নেয়া হয়েছে।
প্রায় ৪ মাস আগে এ শহরের দুটি মসজিদে জুমার নামাজের সময় এক খ্রিস্টান বন্দুকধারীর গুলিতে ৫১ জন নিহত হয়েছিল।
এ ঘটনার পর আইন সংস্কার করে সাধারণ নাগরিকদের জন্য সেমি-অটোমেটিক ও অ্যাসাল্ট রাইফেল নিষিদ্ধ করে নিউজিল্যান্ড সরকার। এ ছাড়া ‘বাইব্যাক’ স্কিমের মাধ্যমে নিষিদ্ধ অস্ত্রগুলো মালিকদের কাছ কিনে নেয়া হচ্ছে।
দেশব্যাপী ২৫০টিরও বেশি এ ধরনের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সব নিষিদ্ধ অস্ত্র জমা নেয়ার পরিকল্পনা করেছে নিউজিল্যান্ড সরকার। প্রথমদিনই ক্রাইস্টচার্চের ১৬৯ জন আগ্নেয়াস্ত্রের মালিক তাদের কাছে থাকা ২২৪টি অস্ত্র জমা দেন। এর বিনিময়ে কর্তৃপক্ষ তাদের চার লাখ ৩৩ হাজার ৬০০ নিউ জিল্যান্ড ডলার ক্ষতিপূরণ দেয়।
জমা নেয়ার পর অস্ত্রগুলো ধ্বংস করা হবে বলে দেশটির পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। অস্ত্র জমা নেয়ার এ বাইব্যাক স্কিমের জন্য নিউজিল্যান্ড সরকার দেশটির মুদ্রায় ২০ কোটি ৮০ লাখ ডলার বরাদ্দ দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
অস্ট্রেলীয় বর্ণবাদী সন্ত্রাসী ও শ্বেতাঙ্গ জঙ্গি ব্রেনটন টেরেন্ট নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে দুই মসজিদে নির্বিচারে গুলি করে ৫১ জনকে হত্যা, ৪০ জনকে গুলি করে গুরুতর আহত করেন।
গত ১৫ মার্চ জুমার নামাজ চলার সময় চালানো ওই হামলায় নিহতদের মধ্যে পাঁচ বাংলাদেশিও রয়েছেন।