শীর্ষবিন্দু নিউজ: বৃহস্পতিবার লন্ডনে ভারতীয় দূতাবাসের বাইরে বিক্ষোভ করেছে হাজার হাজার মানুষ। কাশ্মিরের ইস্যুতে ভারতের স্বাধীনতা দিবসে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভে অনেকেই পাকিস্তান ও কাশ্মিরের পতাকা হাতে যোগ দেয়।
মূল বিক্ষোভ থেকে খানিক দূরে ভারত সরকারের সিদ্ধান্তের সমর্থনে পাল্টা বিক্ষোভও অনুষ্ঠিত হয়। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, বিক্ষোভ থেকে শান্তিভঙ্গ, পুলিশের কাজে বাধাদান ও আক্রমণাত্মক অস্ত্র বহনের অভিযোগে চার জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
কাশ্মিরের স্বায়ত্তশাসন বাতিলের প্রতিবাদে লন্ডনে ভারতীয় হাই কমিশন ঘিরে এই বিক্ষোভে কয়েক হাজার মানুষ জড়ো হয়ে মূলত; তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। নয়া দিল্লির সিদ্ধান্ত নিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের রুদ্ধদ্বার বৈঠকের আগে বৃহস্পতিবার এই বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এ খবর জানিয়েছে।
বিক্ষোভকারীরা পাকিস্তানি ও কাশ্মিরি পতাকা হাতে ভারতীয় হাই কমিশনের সামনে অবস্থান নেয়। বিক্ষোভকারীদের হাতে ‘ফ্রি কাশ্মির’ স্লোগান লেখা ব্যানার ছিল। এ সময় অল্প কয়েকজন এই বিক্ষোভের প্রতিবাদ করেন।
বিক্ষোভে অনেকেই ‘কাশ্মির জ্বলছে’, ‘মুক্ত কাশ্মির’, ‘মোদি: চা বানাও, যুদ্ধ নয়’ লেখা ব্যানার বহন করে। বিক্ষোভ থেকে ছুরি হাতে এক ব্যক্তিকে আটক করতে দেখেছেন বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক ফটোগ্রাফার। পুলিশের তরফে বিক্ষোভ থেকে চার জনকে আটকের কথা জানানো হয়। বলা হয়, বিক্ষোভের সময় এক ব্যক্তি আহত হয়েছে।
পুলিশ উভয় পক্ষের বিক্ষোভকারীদের লাইন টেনে আলাদা করেছে। কাশ্মিরের স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে দিল্লি। কাশ্মিরের স্বায়ত্তশাসন ফিরিয়ে ভারতকে চাপ দেওয়া উচিত জাতিসংঘের।
সুমাইয়া শাহ নামের এক নারী জানান, গত ১২ দিন ধরে কাশ্মিরে বাবা-মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না তিনি। বলেন, কারণ পুরো কাশ্মিরের জনগণকে লকডাউন ও কারফিউ পরিস্থিতির মধ্যে রেখেছে ভারত। আমি জানি না, বাবা-মায়ের ওষুধ ও খাবার আছে কিনা। আমার মায়ের ডায়বেটিক, তিনি ইনসুলিন নিচ্ছেন।
গত ৫ আগস্ট ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের মধ্য দিয়ে কাশ্মিরের স্বায়ত্তশাসনের অধিকার ও বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নেয় বিজেপি নেতৃত্বাধীন ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। ওই দিন থেকে কার্যত অচলাবস্থার মধ্যে রয়েছে কাশ্মির। মোবাইল-ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে সেখানকার জনশূন্য রাস্তায় টহল দিচ্ছে সশস্ত্র সেনারা।