শীর্ষবিন্দু নিউজ: সাবেক বন্ধু জেফরি এপস্টেইনের সঙ্গে একজোট হয়ে যৌন হয়রানির অপরাধ করেছেন এমন অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন ব্রিটিশ রাজপুত্র প্রিন্স অ্যান্ডু।
সোমবার বাকিংহাম প্যালেস এক বিবৃতিতে জানায়, প্রিন্স অ্যান্ডুর বিরুদ্ধে কোন সুযোগ কাজে লাগিয়ে এই ধরনের অভিযোগ আনা অত্যন্ত জঘন্য কাজ। রয়টার্স, বিবিসি, ডেইলিমেইল
যৌন পাচার ও পতিতাবৃত্তির সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে ম্যানহাটনের জেলে থাকা এপস্টেইন গত সপ্তাহে আত্মহত্যা করেন।
রোববার ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড মেইল অনলাইনের প্রতিবেদনে উঠে আসে, ২০১০ সালে প্রিন্স অ্যান্ডুকে এপস্টেইনের ম্যানহাটনের বাসভবনে দেখা গেছে। এর দু’ বছর আগেই অপ্রাপ্তবয়স্ক কিশোরীদের পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য ও যৌন পাচারের অভিযোগে এপস্টেইন ১৮ মাসের জেল খেটেছিলেন।
২০১৫ সালে মার্কিন আদালতে অ্যান্ডুর সঙ্গে এপস্টেইনের বন্ধুত্বের কথা উঠে আসে। এপস্টেইনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ দায়ের করা ভার্জিনিয়া রবার্ট বলেন, ১৯৯৯ থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত মার্কিন আইনে অপ্রাপ্তবয়স্ক থাকাকালে তিনি জোরপূর্বক প্রিন্সের সঙ্গে তিনবার যৌন সম্পর্ক স্থাপনে বাধ্য হয়েছেন। যদিও বাকিংহাম প্যালেস বলছে, এই অভিযোগ মিথ্যে ও ভিত্তিহীন।
এর আগে মার্কিন আদালতের নথিতে দেখা যায়, প্রিন্স অ্যান্ড্রু ছাড়াও প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের সঙ্গে এপস্টেইনের ঘনিষ্ঠতা ছিলো। তার বিরুদ্ধে নিজের ম্যানহাটন ফ্লোরিডার ম্যানশনে ১৮ বছরের কিশোরীদের জোরপূর্বক যৌনকর্মে লিপ্ত হতে বাধ্য করার অভিযোগ আনা হয়।
গত মাসে প্রাইভেট জেটে করে নিউ জার্সিতে ল্যান্ড করার পর তাকে আটক করে পুলিশ। বেঁচে থাকলে ৪৫ বছরের কারাদন্ডে অভিযুক্ত হতেন তিনি।