শীর্ষবিন্দু নিউজ: কোরবানির পর নিত্যপণ্যের বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে ১০ টাকা। ভারতে পেঁয়াজের দাম বাড়ায় বাংলাদেশের বাজারে এমন নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
অপরদিকে বাজারে সরবরাহ বেড়েছে ইলিশ ও ডিমের। ফলে উভয় পণ্যের অনেকটাই দাম কমেছে। যদিও বেশিরভাগ ইলিশ সামুদ্রিক, যা চট্টগ্রামের বিভিন্ন আড়ত থেকে ঢাকার বিভিন্ন বাজারে আসছে।
বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারভেদে এক কেজি সাইজের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা পিস, যা গত সপ্তাহেও ছিল ২০০০–২২০০ টাকা পিস। বড় ইলিশের পাশাপাশি দাম কমেছে ছোট ও মাঝারি সাইজের ইলিশের। ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রাম ওজনের প্রতিপিস ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে ৬০০ থেকে ৭০০ টাকার মধ্যে, যা গত সপ্তাহেও ছিল ৯০০–১০০০ টাকা। এছাড়া ৫০০ গ্রাম ওজনের প্রতি কেজি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকার মধ্যে।
একই সঙ্গে সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় কিছুটা কমেছে ডিমের দাম। রাজধানীতে মহল্লাভেদে ডিমের হালি ৪০ টাকায় উঠলেও এখন তা ৩৪ থেকে ৩৬ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আবার অনেক জায়গায় ১১০ টাকা ডজনে বিক্রি হওয়া ডিম এখন বিক্রি হচ্ছে ১০৫ টাকা দরে। ডিমের দাম কেবল রাজধানী নয়, বাইরেও বেড়ে গিয়েছিল।
রাজধানীরে কোনাপাড়া বাজারে দেশি পেঁয়াজ ৪৮ টাকা কেজিতে বিক্রি হতে দেখা গেছে। ঈদের আগে তা ৩৬ থেকে ৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে। খুচরা বাজারে এখন দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়।
এদিকে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, ইলিশ মাছ সবাই খেতে চায়। কিন্তু দাম অনেক বেশি। বছরের তিনমাস অর্থাৎ আগস্ট, সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর– এই সময়ে বড় সাইজের ইলিশের দেখা মেলে। ফলে এই সময় দামও কিছুটা কমে। এ কারণে এ সময় সব শ্রেণি পেশার মানুষ ইলিশ কিনতে মুখিয়ে থাকে।
অন্যদিকে রাজধানীর বাজারে রসুন ও আদা ২০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হতে দেখা গেছে। তবে পাইকারি বাজারে রসুন ১৫০ টাকা ও আদা ১২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়, চীনা রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা কেজি দরে।
এ সময় বাজারে কমেছে মাছ, মাংস ও ডিমের দাম। সব ধরনের মুরগির মাংসের দাম কমেছে। পোল্ট্রি ১২০ টাকা, পাকিস্তানি কক ২৩০ টাকা ও দেশি মুরগি ৫৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।