শীর্ষবিন্দু নিউজ ডেস্ক: সর্বোচ্চ আদালতের দিকে তাকিয়ে বৃটেন। আজ সুপ্রিম কোর্ট দুটি আপিলের রায় দেবে। প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ব্রেক্সিট সম্পাদনের আগে ৫ সপ্তাহের জন্য পার্লামেন্ট স্থগিত করেছেন।
সেই আদেশ বৈধ নাকি অবৈধ এ বিষয়ে আজ রায় দেবে আদালত। এর আগে এডিনবার্গের কোর্ট অব সেশন পার্লামেন্ট স্থগিত করাকে বেআইনি ঘোষণা করেছে।
তবে এই আদালত পার্লামেন্ট স্থগিতের আদেশের বিপরীতে রায় দেয়নি আজকের সুপ্রিম কোর্টের রায়ের জন্য। লন্ডনের হাই কোর্ট বলেছে, বিষয়টি আদালতের বিষয় নয়।
এ অবস্থায় প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, তিনি অপেক্ষা করবেন এবং বিচারকরা কি বলেন সে দিকে দৃষ্টি রাখবেন। যদি সুপ্রিম কোর্ট আজ পার্লামেন্ট স্থগিতাদেশকে বেআইনি বলে রায় দিয়ে পার্লামেন্টকে সচল করার নির্দেশ দেয় তাহলে তাতে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের বড় এক পরাজয় ঘটবে।
কারণ, পার্লামেন্ট স্থগিতের কারণে তার নিজদলের ভিতরে বিদ্রোহ দেখা দিয়েছে। বিদ্রোহ দেখা দিয়েছে ব্রেক্সিটবিহীন চুক্তির বিরুদ্ধে। ফলে প্রথম সারির বেশ কয়েকজন রাজনীতিককে তিনি বহিষ্কার করেছেন। সমাজবিজ্ঞানীরা বলছেন, এতে দল হিসেবে কনজারভেটিভ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বিবিসি বলছে, আজকের রায়কে কেন্দ্র করে বরিস জনসন বলেছেন বিচার বিভাগের প্রতি রয়েছে তার সর্বোচ্চ শ্রদ্ধা। এক সপ্তাহ আগে থেকে তার পার্লামেন্ট স্থগিতের সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে।
ফলে ১৪ই অক্টোবরের আগে এমপিরা আর পার্লামেন্টে ফিরতে পারছেন না। ওই ১৪ই অক্টোবর বক্তব্য রাখার কথা রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের। ৩১ শে অক্টোবরের মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছাড়ার কথা রয়েছে বৃটেনের।
তবে পার্লামেন্ট স্থগিতের তীব্র বিরোধিতা করেছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। তারা চাইছে পার্লামেন্ট সচল করা হোক।