শীর্ষবিন্দু নিউজ ডেস্ক: বুধবার সকালে পার্লামেন্ট অধিবেশন শুরু হওয়ার পর বরিস জনসনের নেতৃত্বাধীন সরকারকে জবাবদিহিতার আওতায় আনা হবে। প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে পদত্যাগ করতে হবে।
কারণ, তিনি দেশের আইন ভঙ্গ করেছেন। বৃটেনের ব্রাইটনে বিরোধী লেবার পার্টির সম্মেলনে এমন হুমকি দিয়েছেন দলটির নেতা জেরেমি করবিন।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় রাত প্রায় ১০টার দিকে তিনি ওই সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন। এদিনই ৫ সপ্তাহের জন্য বরিস জনসনের পার্লামেন্ট স্থগিত রাখাকে বেআইনি বলে রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
এ প্রসঙ্গে জেরেমি করবেন বলেছেন, এটা হচ্ছে আমার দেশের জন্য একটি ব্যতিক্রমী ও অনিশ্চিত একটি মুহূর্ত। বয়স হলেও এদিন জেরেমির কণ্ঠ যেন ধারালো হয়ে ওঠে। তিনি দৃপ্ত কণ্ঠে বলতে থাকেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন আর কখনোই গণতন্ত্রকে থামিয়ে দিতে এবং জনগণের কণ্ঠকে স্তব্ধ করে দিতে পারবেন না।
তিনি প্রধানমন্ত্রী জনসনের পদত্যাগ দাবি করলে সম্মেলনে উপস্থিত প্রতিনিধিরা দাঁড়িয়ে তাকে অভিবাদন জানান এবং স্লোগান দিতে থাকেন ‘জনসন আউট’ বলে। জেরেমি করবিন থেমে থেমে বলতে থাকেন, জনসন মনে করেছিলেন তিনি যা পছন্দ করেন তাই করতে পারবেন। তিনি ভেবেছিলেন আমাদের সবার উপরে তিনি। জনসন প্রধানমন্ত্রী পদে অযোগ্য বলে এ সময় ঘোষণা করেন করবিন।
তিনি আরো বলেন, এই সঙ্কটের একমাত্র সমাধান হতে পারে জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে। করবিন বর্তমান ব্রেক্সিট প্রক্রিয়াকে ‘ট্রাম্প ব্রেক্সিট’ হিসেবে আখ্যায়িত করে তা পরিহার করার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, একটি ছোট্ট ডানপন্থি গ্রুপ ব্রেক্সিট গণভোটের রায়কে ছিনতাই করার চেষ্টা করছে। আমাদের লড়াইটা হলো ওই গ্রুপের চুক্তিবিহীন ব্রেক্সিটের বিরুদ্ধে।
তিনি আরো বলেন, তারা চায় এমন একটি ব্রেক্সিট যার মাধ্যমে বৃটেনকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের হাতে তুলে দেয়া হবে। তাই বাস্তব অর্থে একটি চুক্তিবিহীন ব্রেক্সিট হলো একটি ট্রাম্প-ডিল ব্রেক্সিট।