শীর্ষবিন্দু নিউজ ডেস্ক: চলমান অচলাবস্থা কাটাতে এই ভাষণকে গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা করছেন বিশ্লেষকরা। এই ভাষণে পাওয়া নির্দেশনা অনুযায়ীই ইইউ এর সঙ্গে আলোচনা অগ্রসর করতে চায় বরিস জনসনের সরকার।
তবে বিরোধীরা বলছেন এই ভাষণে জনগনের আশা আকাঙ্খার প্রতিফলন না ঘটলে তারা তা প্রত্যাখান করবেন। তাই ধারণা করা হচ্ছেন বিরোধী এমপিরা ব্রেক্সিট বিরোধীদের সঙ্গে জোটবদ্ধ হতে পারলে এই ভাষণ নাও পাম হতে পারে। এমনটি ঘটলে এটি হবে এক নজিরবিহীন ঘটনা।
জানা গেছে এই ভাষণে যুক্তরাজ্যে ইইউ নাগরিকদের মুক্তভাবে চলাচল এবং ওষুধ ঘাটতি ঠেকাতে প্রস্তুতকৃত পরিকল্পনার বিস্তারিত জানানো হবে।
মন্ত্রীরা বলছেন, ব্রেক্সিট চুক্তি তাদের কাছে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ এবং সেটি দ্রæততম সময়ের মধ্যে পার্লামেন্টে পাস করিয়ে নেয়ার বিষয়ে তারা আশাবাদি। এখনও ব্রেক্সিট চুক্তি নিয়ে আলোচনা করছে যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন। তবে ডাউনিং স্ট্রিটের একটি সূত্র বিবিসিকে জানিয়েছে একটি চুক্তি অর্জনের মতো প্রয়োজনীয় আলোচনা এখনও বাকি রয়েছে।
এটি বরিস জনসনের শাসনকালে প্রথম রানির ভাষণ। এই ভাষণ নিয়ে যথেষ্ট টানাপোড়েন হয়েছে। ১ মাস আগে এটি হওয়ার কথা থাকলেও পার্লঅমেন্ট স্থগিত করে তা পিছিয়ে দেন বরিস। পরবর্তীতে আদালতের নির্দেশে আবারও ফিরে আসে পার্লামেন্ট।
তবে বছর শুরুর এই আনুষ্ঠানিকতা একটু দেরিতেই হচ্ছে। ২১ অক্টোবর রাত ১১টা ৫৯ মিনিটে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছাড়ার কথা যুক্তরাজ্যের। রানির ভাষণের উপর অনেকাংশেই নির্ভর করছে যুক্তরাজ্যের ভবিষ্যত।