শীর্ষবিন্দু আর্ন্তজাতিক নিউজ: আরব দেশ জর্ডানে বাপ–ভাই বা স্বামীর অনুমতি ছাড়া বাড়ির বাইরে গেলেই আটক করা হচ্ছে নারীদের।
পুরুষ অভিভাবকদের নির্দেশ অমান্য করলে বা বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়ালে দেয়া হচ্ছে কারাদণ্ড। এমনকি বিয়েবহির্ভূত মিলনে জন্ম নেয়া নবজাত শিশু থেকে জোরপূর্বক আলাদা করা হচ্ছে মাকে।
নারীর সুরক্ষার নামে পুরুষ অভিভাবকত্ব ব্যবস্থাকে ‘নিপীড়নমূলক’ অভিহিত করেছে লন্ডনভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। সেই সঙ্গে এ অনুশীলনের ইতি টানতে এখনই ব্যবস্থা নিতে জর্ডান সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি। খবর এএফপির।
আধুনিক ইসলামী রাষ্ট্র হিসেবে জর্ডান সম্প্রতি নারীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করছে। নারীদের জন্য ‘সেফ হাউস’ বা নিরাপদ আশ্রয় নামে পুনর্বাসন কেন্দ্র উদ্বোধন করেছে। তা সত্ত্বেও বুধবার প্রকাশিত নতুন এক রিপোর্টে অ্যামনেস্টি বলেছে, পুরুষ অভিভাবকের অবাধ্য হলেই নারীদের আটক ও জেল দেয়া হচ্ছে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, পুরুষ অভিভাবকত্ব ব্যবস্থার নামে নারীদের জীবন ও ব্যক্তিগত স্বাধীনতার নিয়ন্ত্রণের সব ক্ষমতা বাবা, ভাই ও স্বামীকে দেয়া হয়েছে। ফলে অনুমতি ছাড়া ঘরের বাইরে গেলেই কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ আসে।
কখনও কখনও বাইরে থেকে ঘরে আসার পর নারীদের ‘সতীত্ব পরীক্ষা’র মতো অবমাননাকর চর্চা করে থাকে স্বামীরা। নারীদের সুরক্ষায় ২০১৮ সালে জর্ডানে ‘সেফ হাউস’ খোলা হয়। মানসিক সমস্যায় ভুগছে এমন নারীদের এখানে রাখা হয়।
এজন্য সমাজকর্মী, মনোবিজ্ঞানী ও আইনজীবীদের নিয়োগ দেয়া হয়েছে। উদ্বোধনের পর এ পর্যন্ত প্রাদেশিক সরকারগুলোর পক্ষ অন্তত ৮৬টি মামলা জমা পড়েছে বলে জানান এক কর্মকর্তা।
জর্ডান কর্তৃপক্ষ বলছে, মামলাগুলোর মধ্যে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ায় ৮৫টি নারীকে সরকারের আটক কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। আরব বিশ্বের বেশিরভাগ দেশের ‘অভিভাবকত্ব নীতি’ রয়েছে।