শীর্ষবিন্দু নিউজ: যুক্তরাজ্যের ১২ই ডিসেম্বরের নির্বাচনে প্রায় ৬৭ জন বর্তমান সংসদ সদস্য প্রার্থী হবেন না বলে ঘোষণা দিয়েছেন। এই তালিকায় রয়েছেন ব্রেক্সিট পার্টির নেতা নাইজেল ফারাজ, অভিজ্ঞ পার্লামেন্টারিয়ান কেন ক্লার্ক, ১৮ জন নারী সাংসদ, পার্লামেন্টের বর্তমান স্পিকার জন বার্কো, সাবেক চ্যান্সেলর ফিলিপ হ্যামন্ড, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আম্বার রাড ও সংস্কৃতিমন্ত্রী নিকি মর্গানের মত প্রভাবশালী এমপিরা। এই আইন প্রণেতারা স্বেচ্ছায় নির্বাচন না করার ঘোষণা দিয়েছেন। পারিবারিক কারণ ও ব্রেক্সিট বিরোধিতাসহ নানা কারণে তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যুক্তরাজ্যের ইতিহাসে এবারই সর্বোচ্চ সংখ্যক বর্তমান আইন প্রণেতা এমন সিদ্ধান্ত নিলেন। বাংলা ট্রিবিউন
দীর্ঘ টানাপড়েন আর অনিশ্চয়তার পর সম্প্রতি ব্রেক্সিট চুক্তির বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)-জনসন সমঝোতা হলেও ব্রিটিশ পার্লামেন্টে তা অনুমোদন পায়নি। ২৮ অক্টোবর ইইউ-এর পক্ষ থেকে ব্রেক্সিট কার্যকরের পূর্বনির্ধারিত সূচি ৩১ অক্টোবর থেকে ৩ মাস বাড়িয়ে ২০২০ সালের ৩১ জানুয়ারি নির্ধারণ করা হয়। ইউরোপীয় ইউনিয়নের ওই প্রস্তাবে সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মতি জানান বরিস জনসন। ২৯ অক্টোবর ব্রিটিশ এমপিরা আগাম নির্বাচনে জনসনের প্রস্তাবে দেন। ফলে আগামী ১২ ডিসেম্বর দেশটির জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ১৯২৩ সালের পর ডিসেম্বরে এটিই হবে প্রথম নির্বাচন।
ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির সাংসদদের মধ্যে যারা কট্টর ব্রেক্সিটবিরোধী হিসেবে পরিচিত, অতীতে দলের নেতা নির্বাচনে বরিস জনসনের বিরোধিতা করেছেন অথবা ব্রেক্সিট ইস্যুতে সংসদে দলের বিরোধিতায় দল থেকে বহিষ্কৃত হয়েছেন তাদের অনেকেই ব্যক্তিগত ও পারিবারিক কারণ দেখিয়ে নির্বাচন না করার সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন। তবে আগামী নির্বাচনটিকে যেহেতু ব্রেক্সিট বাস্তবায়নের পথ খোঁজার নির্বাচন হিসেবে দেখা হচ্ছে, সে কারণে কট্টর ব্রেক্সিটবিরোধী এমপিদের অনেকেই এ নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন না।
প্রভাবশালীরা ছাড়াও নির্বাচন না করার এই তালিকায় ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টি থেকে রয়েছেন স্যার ওলিভার লিথুইন (ওয়েস্ট ডরসেট), জাস্টিন গ্রিনিং (পাটনি), ররি স্টিউরার্ট (পেনরিথ এন্ড দ্যা বর্ডার), গুটো বেব (এবারকনউই), নিক বলেস (গ্রান্থাম এন্ড স্টামফোর্ড), ক্লেটি পেরি(ডেভিজেস), স্যার নিকোলাস সোয়ামেস (মিড সাসেক্স), সিলভিয়া হারমোন (নর্থ ডাউন), আলিস্টিয়ার বার্ট (নর্থ ইস্ট ব্রার্ডফোর্ডশায়ার), রিচার্ড হ্যারিংটন (ওয়ার্টফোর্ড), রিচার্ড বেনিয়ন (নিউবারী), স্যার মাইকেল ফ্যালন ডার্লিংটন, স্যার ডেভিট লিডিংটন (আলেসবারী), স্যার পেট্রিক ক্যম্যাকলাউলিন (ডার্বিশায়ার ডেলস্), ডেন ক্যারোলাইন স্পেলম্যান (মেরিডেন), জো জনসন (ওরপিংটন), জেরেমি জেফরয় (স্টিফোর্ড), গ্লিন ডেভিস (মন্টগোমেরিজায়ার), কিথ সিম্পসন (ব্রডল্যান্ড), নিক হারড (রুইস্লিপ, নর্থউড এন্ড পিনার), মার্ক প্রিস্ক (হার্টফোর্ড এবং স্টোর্টফোর্ড), বিল গ্রান্ট (আয়র, ক্যারিক এন্ড কলামক), স্যার হুগো সোয়ার (ইস্ট ডেভন), ডেভিড ট্রেডিনিক (বসওয়ার্থ), মার্ক ফিল্ড (লন্ডন এন্ওড য়েস্টমিনস্টার সিটি), সীমা কেনেডি (সাউথ রিবল), সারা নিউটন (ট্রুরো এন্ড ফলমথ), মিমস ডেভিস (ইস্টলি), স্যার অ্যালান ডানকান (মেল্টন এন্ড রুটল্যান্ড), পিটার হিটন-জোনস (নর্থ ডেভন), মার্গট জেমস (স্টরব্রিজ), মার্ক ল্যাঙ্কাস্টার (মিল্টন কিনস নর্থ), রস থমসন (অ্যাবারডিন সাউথ), স্যার হেনরি বেলিংহাম (নর্থ ওয়েস্ট নরফোক), নিক হার্বার্ট (অরুনডেল এন্ড সাউথ ডাউনস), এড ভাইজে (ওয়ান্টেজ এন্ড ডিভকোট), স্যার জর্জ হিলিংবারী (মিয়ন ভেলি)।
বিরোধী দল লেবার পার্টির টম ওয়াটসন (ওয়েস্ট ব্রমউইচ ইস্ট), জিম ফিট প্যাট্রিক (পপলার এন্ড লাইম হাউজ), কেভিন বারন (রথার ভেলি), রনি কাম্পবেল (ব্লেইথ ভেলি), কেইট হয়ে (ভক্সাল), গ্লরিও ডে পিয়েরো (আশফিল্ড), এন ক্লাইড (সিনন ভেলি), লুইস ইলম্যান (লিভারপুল রিভারসাইড), জন রাইয়ান (এনফিল্ড নর্থ), এন কফে (স্টকপোর্ট), কেলবিন হপকিন (লুটন নর্থ), জন উডকক (বারো এন্ড ফারনেস), স্টিফেন পাউন্ড (ইলিং নর্থ), স্টিফেন টুইগ (লিভারপুল ওয়েস্ট ডার্বি), রবার্টা ব্ল্যাকম্যান-উডস (ডারহাম সিটি), জেফ্রি রবিনসন (কভেন্ট্রি নর্থ ওয়েস্ট), টেরেসা পেরস (এরিথ এন্ড থেমসিয়েড), পল ফারেল্লি (নিউক্যাসল-আন্ডার লাইম), অ্যালবার্ট ওয়েন (ইয়্নিস সোম), জিম কানিংহাম (কভেন্ট্রি সাউথ), আয়ান লুকাস (ওয়ারেক্সাম), হেলেন জোন্স (ওয়ারিংটন নর্থ), অ্যাড্রিয়ান বেইলি (ওয়েস্ট ব্রমউইচ) মির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন না।
অন্যান্য দল থেকে রয়েছেন স্যার ভিন্ড ক্যাবল (টুইকেনহাম), স্যার নরম্যান লেম (নর্থ নরফোক), হেইডি এ্যালেইন (কেম্ব্রিজশায়ার সাউথ) ও ডেভিট সিম্পসন (আপার বান)।