শীর্ষবিন্দু নিউজ: ভুয়া পাসপোর্ট দিয়ে রাষ্ট্রীয় আর্থিক সুবিধা নেওয়া অভিযোগে এক বাংলাদেশিকে দেশে ফেরত পাঠাচ্ছে যুক্তরাজ্য।
এর আগে সেখানে ১৮ মাসের স্থগিত কারাদণ্ডের আওতায় ছিল মোহাম্মদ আহমেদ নামের ওই ব্যক্তি। তার পূর্বনাম সিরাজুল হক। প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ২০১৯ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত সে ইউনিভার্সাল ক্রেডিটের কয়েক হাজার পাউন্ড আত্মসাত করে।
যুক্তরাজ্যের আদালত ক্রাউন প্রসিকিউশন সার্ভিস (সিপিএস) জানায়, সিরাজুল ১৯৬৯ সালে বাংলাদেশি হিসেবে যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করে। কিন্তু তিনি ব্রিটিশ নাগরিকত্বের যোগ্য নয় এবং যুক্তরাজ্যে প্রবেশের জন্য কখনোই স্বচ্ছ আবেদন করেনি।
২০০৩ সালে সিরাজুল পাসপোর্টের জন্য আবেদন করে। সঙ্গে একটি পুরোনো নীল রংয়ের ব্রিটিশ পাসপোর্ট জমা দেয়। আর সেই পাসপোর্টই ভুয়া শনাক্ত হয়। ২০০৮ সালে নাম পরিবর্তন করে আবার পাসপোর্টের আবেদন করেন সিরাজুল।
এরপর যুক্তরাজ্যর শ্রম ও অবসরভাতা অধিদফতর ২০১৮ সালের ৬ মার্চ থেকে ২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত ইউনিভার্সাল ক্রেডিট পেমেন্টের আওতায় তার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৬ হাজার ৭৬২ পাউন্ড জমা করে। এ বছর জানুয়ারিতে আহমেদের বাড়ি তল্লাশি করে পুলিশ নথি ও তার পাসপোর্টের সন্ধান পায়।
এরপর ১৫ জানুয়ারি তাকে গ্রেফতার করা হয় এবং আদালতে প্রমাণ হয় যে তিনি ভুয়া নথি ব্যবহার করে সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন।
সিপিএসের মার্সি চেশায়ার এলাকার ফ্রড ইউনিটের রব গিরভান বলেন, ‘ভুয়া পরিচয় দিয়ে যুক্তরাজ্যে আসার পর থেকে মোহাম্মদ আহমেদ একের পর এক অপরাধ করেছেন। সরকারি দফতরের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার সঙ্গে লিয়াজোঁ করে তিনি এই অপরাধ লুকাতে চেয়েছেন।
বাংলাদেশ থেকে ভিডিও লিংকের মাধ্যমে সাক্ষাৎকারও নিয়েছেন। কিন্তু আহমেদের এই টাকার ওপর কোনও অধিকার ছিলো না এবং এখানে কাজ করারও অনুমতি ছিলো না। আদালত তাকে বিচারের আওতায় এনেছে।
সিপিএস জানায়, আহমেদের বিরুদ্ধে আরও দুটি অভিযোগ আছে। একটি হচ্ছে ভুয়া নথিপত্র দেওয়া এবং পাসপোর্ট নেওয়ার জন্য মিথ্যা তথ্য সরবরাহ। তার ফাইলে এই অভিযোগও উল্লেখ থাকবে।
সিরাজুলের বিরুদ্ধে ১৮ মাসের কারাদণ্ডে ২ বছরের স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে। ফলে তাকে কারাগারে থাকতে হচ্ছে না। তবে তার ভুয়া পাসপোর্ট জমা দিতে হবে তাকে। ইতোমধ্যে তাকে বাংলাদেশে পাঠানোর সিদ্ধান্তটি স্বরাষ্ট্র দফতরে পাঠানো হয়েছে।