শীর্ষবিন্দু নিউজ ডেস্ক: বিবিসির প্যানারোমা অনুষ্ঠানে এই দাবি করেন, জেফরি এপিস্টোনের কথিত এই যৌন দাসী। তার দাবী, আত্মহত্যা করা যৌন অপরাধী এপিস্টোন তাকে এ কাজে বাধ্য করেছিলেন। তখন তার বয়স ছিলো মাত্র ১৭ বছর। এই অভিজ্ঞতাকে ভয়াবহ অভিহিত করে ভার্জিনিয়া ব্রিটিশ জনগনের সমর্থন চেয়েছেন। ওয়াশিংটন পোস্ট, বিবিসি
ভার্জিনিয়া রবার্টস গিফারি বলেন, ‘এটা কোনও স্বাভাবিক যৌনতার গল্প নয়। এটি পাচারের গল্প, এটি হেনস্থার গল্প, এটা আপনাদের রাজকীয় অহমের গল্প।’
গত মাসে বিবিসিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে প্রিন্স অ্যান্ড্রু জানিয়েছিলেন, জেফরি এপিস্টোনের সঙ্গে তার যোগাযোগ ছিলো। তবে তিনি দাবি করেন, তার বিরুদ্ধে আনিত যৌন অপরাধের অভিযোগ মিথ্যা এমনকি তার কখনই গিফারির সঙ্গে দেখাও হয়নি।
বিবিসি জানিয়েছে, অ্যান্ড্রুর আগেই তাদের কাছে সাক্ষৎিকার দিয়েছিলেন এই নারী। অ্যান্ড্রুর সাক্ষাৎকার ব্রিটিশ জনগনের মধ্যে এতোটাই বিরুপ প্রতিক্রিয়া তৈরী করে যে, রানি ও যুবরাজ চার্লসের চাপে তিনি সমস্থ রাজকীয় উপাধী ও পদ ছাড়তে বাধ্য হন।
গিফারি বলেছেন, তাকে ২০০১ ও ২ সালে ৩ বার অ্যান্ড্রুর কাছে পাচার করা হয়। এবার লন্ডনে এপিস্টোনের প্রেমিকার বাড়িতে, একবার নিউইয়র্কে এপিস্টোনের ব্যক্তিগত ম্যানশনে আর একবার ক্যারিবিয়ান সাগরের একটি ব্যক্তিগত দ্বীপে, যার মালিক ছিলেন এপিস্টোন।
গিফারি বলেন, এটা বেশিক্ষণের ছিলো না। তিনি উঠে দাঁড়িয়ে আমাকে ধন্যবাদ দেন। আমি ভীত আর লজ্জিত ছিলাম। আমার নিজেকে নোংরা লাগছিলো। অ্যান্ড্রু জানেন কি হয়েছিলো। আমি জানি, আমাদের দুজনের মধ্যে শুধু আমিই সত্য বলছি।
এদিকে এক অভিযোগকারী নারীর আইনজীবি বলেছেন, যৌন পাচারের বিষয়ে প্রিন্স অ্যান্ড্রুর কাছে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য থাকতে পারে। তাই তাকে এ ব্যাপারে অবশ্যই আদালতে সাক্ষ্য দিতে হবে। পাঁচ নারীর প্রত্যেকের মামলায় সাক্ষী হিসেবে আদালতে সাক্ষ্য দিতে প্রিন্স অ্যান্ড্রুকে বাধ্য করতে চান ভুক্তভোগীদের আইনজীবী।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সাক্ষ্য দিতে প্রিন্স অ্যান্ড্রুকে সমন দেয়ার বিষয়ে পরিকল্পনা করছেন তিনি। প্রিন্স দাবি করেছেন, এপিস্টোনের বাড়িতে তিনি যখন গিয়েছিলেন, তখন কোনো অপরাধম‚লক বা সন্দেহজনক কিছু দেখেননি।