শীর্ষবিন্দু নিউজ: ইংরেজির পরেই লন্ডনে সবচেয়ে বেশি মানুষ বাংলা ভাষায় কথা বলেন। লন্ডনে এমন অধিবাসীর সংখ্যা ৭১ হাজার ৬০৯ জন। এর ফলে লন্ডনে দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে উঠে এসেছে বাংলা।
আরো একবার সেরার সেরা স্বীকৃতি পেল বাংলা ভাষা। লন্ডনে বাংলা ভাষা দ্বিতীয় সর্বাধিক প্রচলিত ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি পেল। স্বভাবতই যা বাঙালিদের কাছে গর্বের। জানা গেছে, বাংলাদেশ ও ছে ভারত মিলিয়ে লন্ডনে বসবাসকারী ৭১ হাজার ৬০৯ জন বাসিন্দা প্রধানত বাংলা ভাষায় কথা বলে। লন্ডনে ইংরেজির পরেই সর্বাধিক প্রচলিত ভাষা বাংলা।
বহুল পরিচিত সিটি লিট অ্যাডাল্ট কলেজের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক জরিপে এ কথা বলা হয়েছে। এতে বলা হয়, লন্ডন হলো বহু সংস্কৃতির শহর। সেখানে বসবাসকারীদের মধ্যে ৩ লাখ ১১ হাজার ২১০ জন ঘরে একটি বিদেশী ভাষা ব্যবহার করেন। আর পুরো লন্ডনে প্রতি দশজনের মধ্যে একজন দ্বিতীয় একটি ভাষায় কথা বলেন।
লন্ডনে সবচেয়ে বেশি মানুষ কোন ভাষায় কথা বলেন তা নিয়ে সম্প্রতি জরিপ চালায় ওই কলেজটি। এরপর জরিপের ফলে বলা হয়, সবচেয়ে বেশি মানুষ কথা বলেন ইংরেজি ভাষায়। এরপরেই সবচেয়ে বেশি যে ভাষায় কথা বলে মানুষ তা হলো বাংলা।
এরপরে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে পোলিশ, চতুর্থ টার্কিশ। শুধু লন্ডনে বসবাসকারী ৭১ হাজার ৬০৯ জন কথা বলেন বাংলায়। এই ভাষাটি তিনটি ভিন্ন ভিন্ন বরো’তে সবচেয়ে বেশি মানুষ বলেন। বরোগুলো হলো ক্যামডেন, নিউহ্যাম এবং টাওয়ার হ্যামলেট। এতে বলা হয়, লন্ডনে বাংলা হলো দ্বিতীয় অফিসিয়াল ভাষা। লন্ডনে বসবাসকারী ৭১ হাজার ৬০৯ মানুষ এটাকে তাদের প্রধান ভাষা হিসেবে ব্যবহার করেন।
জরিপের ফল অনুযায়ী বাংলার পরে রয়েছে পোলিশ ভাষা। এ ভাষায় কথা বলেন ৪৮ হাজার ৫৮৫ জন। টার্কিশ ভাষায় কথা বলেন ৪৫ হাজার ১১৭ জন। গুজরাটি ভাষায় কথা বলেন ৪৩ হাজার ৮৬৮ জন। পাঞ্জাবি ভাষায় কথা বলেন ২২ হাজার ১০৮ জন। উর্দুতে কথা বলেন ১৮ হাজার ১২৭ জন। ফ্রেঞ্চ ভাষায় কথা বলেন ১৩ হাজার ১৩ জন। আরবিতে কথা বলেন ১১ হাজার ৫১৩ জন এবং পর্তুগিজ ভাষায় কথা বলেন ৯ হাজার ৮৯৭ জন।
জরিপের ফল অনুসারে শতকরা মাত্র ৩ ভাগ বৃটিশ সাবলীলভাবে পোলিশ ভাষায় কথা বলতে পারেন। এর অর্থ বৃটেনের শতকরা ৯৭ ভাগ মানুষ যথাযথভাবে লন্ডনে বসবাসকারী ৪৮ হাজার ৫৮৫ জন মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারেন না।
ইলিংয়ে বসবাসরত শতকরা প্রায় ৬ ভাগ মানুষ বলেছেন তারা ঘরে পোলিশ ভাষায় কথা বলেন। বার্নেটে এই হার শতকরা ২ ভাগ। ব্রোমলেতে শতকরা ১ ভাগ, লিউয়িশ্যামে শতকরা ২ ভাগ, মারটনারসে শতকরা ৪ ভাগ, আর শতকরা এক ভাগ রিচমন্ডে। সিটি লিটের সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং বিভাগের পরিচালক ক্রিস জোনস বলেছেন, সিটি লিটে আমরা বিচিত্র সংস্কৃতিকে সেলিব্রেট করতে পছন্দ করি।
উল্লেখ্য, লন্ডনের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র ও বাসিন্দাদের মধ্যে যোগাযোগ বাড়াতেই এই সমীক্ষা করা হয়েছিল।