শীর্ষবিন্দু নিউজ: পুরনো বছরের শেষ সূর্যাস্ত দেখলো কক্সবাজার। তবে শীতের মায়াবী রাতে বালিয়াড়িতে ২০২০ সালকে স্বাগত জানানো হয় সাদামাটাভাবে।
বর্ষবরণকে ঘিরে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতে নেই তেমন কোনও আয়োজন। এ কারণে এবার অন্যান্য বছরের তুলনায় পর্যটক সমাগম অনেক কম। সমুদ্র জলে অবগাহন করে ‘হ্যাপি নিউ ইয়ার’ ধ্বনি তুলতে সমবেত হয়েছেন তারা।
নিরাপত্তাজনিত কারণে সৈকতে উন্মুক্ত কনসার্ট বা চিত্তবিনোদনের কোনও ধরনের অনুষ্ঠান করার অনুমতি দেয়নি জেলা প্রশাসন। তাই পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা পড়েছেন সংকটে। পাঁচতারকা হোটেলেই শুধু ছোট পরিসরে আকর্ষণীয় কিছু আয়োজন রয়েছে।
যদিও শহরের ছোটবড় সব হোটেল-মোটেলে দেখা যাচ্ছে আলোকসজ্জা। এগুলোতে উঠেছেন বেড়াতে আসা ভ্রমণপিপাসুরা। তাদের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
প্রতি বছর থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপনের জন্য কক্সবাজারে লাখো পর্যটকের ভিড় দেখা যেতো। কিন্তু এ বছর তাদের সংখ্যা আশানুরূপ নয়। ২০২০ সালকে বরণ করে নিতে যারা এই পর্যটন নগরীতে এসেছেন তাদের অধিকাংশই শুনিয়েছেন হতাশার কথা।
ঢাকার মোহাম্মদপুর থেকে সোহেল চৌধুরী ও ইয়াসমিন আকতার অনেক আশা নিয়ে থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন করতে কক্সবাজার ভ্রমণে এসেছেন। কিন্তু তাতে অপূর্ণতা রয়ে গেছে। কারণ সৈকতে কোনও ধরনের উন্মুক্ত কনসার্ট নেই। তাদের মন্তব্য, থার্টি ফার্স্ট নাইটের কোনও আমেজ নেই কক্সবাজারে।
একই মন্তব্য বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী মিনহাজুল করিমের। তার কথায়, বিশ্বের সব দেশের পর্যটন এলাকায় বিশেষ দিনে চিত্তবিনোদনের নানান ব্যবস্থা থাকে। কিন্তু আমাদের দেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়াকড়ির নামে গৃহবন্দি থাকতে হয়। এভাবে পর্যটন শিল্পের বিকাশ হবে কীভাবে।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার জোনের পুলিশ সুপার মো. জিল্লুর রহমানের দাবি, শুধু থার্টি ফার্স্ট নাইট নয়, কক্সবাজারে পর্যটকদের নিরাপত্তায় সবসময় তৎপর ট্যুরিস্ট পুলিশ। তবে বিশেষ দিনগুলোতে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন স্পটে খোলা হয়েছে হেল্পডেস্ক।
জানা গেছে, সৈকত ছাড়াও দরিয়া নগর, ইনানী, টেকনাফ, সেন্টমার্টিন ও ডুলাহাজারা সাফারি পার্কে পর্যটকদের নিরাপত্তায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।