শীর্ষবিন্দু আর্ন্তজাতিক নিউজ: বেশির ভাগ ইসরাইলি মনে করেন তাদের নেতৃত্ব দুর্নীতিবাজ। বার্ষিক ইসরাইল ডেমোক্রেসি ইনডেক্সের (আইডিআই) জরিপে এ তথ্য বেরিয়ে এসেছে।
এতে দেখা গেছে, শতকরা ৫৮ ভাগ মানুষ মনে করেন তাদের নেতৃত্ব দুর্নীতিবাজ অথবা অতি দুর্নীতিবাজ। শতকরা ২৪ ভাগ মানুষ নেতৃত্বকে মাঝারি মানের দুর্নীতিবাজ বলে মনে করেন। আর ১৬ ভাগ মনে করেন নেতৃত্ব মোটেও দুর্নীতিবাজ নন। শতকরা ২ ভাগ মানুষ কোনো মতামত দেন নি। এ খবর দিয়েছে অনলাইন জেরুজালেম পোস্ট।
এতে বলা হয়, বার্ষিক আইডিআই রিপোর্ট ইসরাইলের প্রেসিডেন্টে বাসভবনে প্রেসিডেন্ট রুবেন রিভলিনের হাতে তুলে দেয়া হয়। ইসরাইল ডেমোক্রেটি ইন্সটিটিউটেডর গাটম্যান সেন্টার ফর পাবলিক অপিনিয়ন অ্যান্ড পলিসি রিসার্চ ১৭তম বছরের মতো এই সূচক প্রকাশ করেছে ২০১৯ সালের মে মাসে ব্যাপক জন মতামত জরিপের ভিত্তিতে।
এতে সাক্ষাতকার নেয়া হয় ১০১৪ জনের। এর মধ্যে ৮৫২ জন হলো ইহুদি। ১৬২ জন আরব। এতে দেখা যায়, নেতৃত্বকে দুর্নীতিবাজ বলে মনে করেন এমন মানুষের শতকরা হার ২০১৪ সালে ছিল শতকরা ৪৩ ভাগ। তা এখন বেড়েছে মসৃণ গতিতে।
এই ইন্সটিটিউট দুর্নীতি ও ইসরাইলের গণতন্ত্রের গুণগত মানের মধ্যে একটি সম্পর্ক খুঁজে পেয়েছে। যেসব মানুষ নেতৃত্বকে দুর্নীতিবাজ মনে করেন তার মধ্যে শতকরা ৪৬.৫ ভাগ আবার মনে করেন ইসরাইলে গণতন্ত্রের গুণগত মান দুর্বল। আবার যারা মনে করেন নেতারা দুর্নীতিবাজ নন, তাদের মধ্যে শতকরা মাত্র ১৮ ভাগ মনে করেন গণতন্ত্রের অবস্থা দুর্বল।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, ইসরাইলে সবচেয়ে বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান হলো আইডিএফ। ইসরাইলের শতকরা ৯০ ভাগ ইহুদি বলেছেন, তারা সেনাবাহিনীতে আস্থা রাখেন। এরপরে রয়েছেন প্রেসিডেন্ট। তার ওপর আস্থা আছে শতকরা ৭১ ভাগ মানুষের। এরপরে রয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এর ওপর আস্থা আছে শতকরা ৫৫ ভাগের।
অর্ধেকেরও কম ইহুদি আস্থা রাখে পুলিশের ওপর। এমন ইহুদির শতকরা হার ৪৪ ভাগ। মিডিয়ার ওপর আস্থা রাখে শতকরা ৩৬ ভাগ। সবচেয়ে কম আস্থা রয়েছে সরকার, পার্লামেন্ট নেসেট ও রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর। এক্ষেত্রে শতকরা হার যথাক্রমে ৩০, ৩০ এবং ১৪ ভাগ।