মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:৪৬

যুক্তরাজ্যে শক্তভাবে আঘাত হেনেছে করোনা ভাইরাস

যুক্তরাজ্যে শক্তভাবে আঘাত হেনেছে করোনা ভাইরাস

শীর্ষবিন্দু নিউজ: যুক্তরাজ্যে আঘাত হেনেছে করোনা ভাইরাস। এই উপলব্ধি অনুৃভব করা যায় লন্ডন হিথরো বিমানবন্দরের পরিবর্তন দেখলে। বিশ্বের সঙ্গে সঙ্গে ক্রমশ উদ্বেগ বাড়ছে দেশটিতে।

একজন বিজ্ঞানী সতর্ক করেছেন করোনা ভাইরাসে (কভিড-১৯) বৃটেনে মারা যেতে পারেন ৪ লাখ মানুষ। এ বিষয়ে পূর্বাভাসকে অযৌক্তিক বলে মনে করেন না বৃটিশ বিজ্ঞানী প্রফেসর নিল ফারগুসন। তিনি ইমপেরিয়াল কলেজ লন্ডনের স্কুল অব পাবলিক হেলথে কর্মরত।

প্রফেসর ফারগুসন বলেছেন, এই ভাইরাসটি নিয়ে আমি খুব আতঙ্কিত। যতগুলো কিলার ভাইরাস আছে তার মধ্যে এটি অন্যতম। ওদিকে লেবার দলের দু’জন এমপি নিজেদেরকে কুয়ারেন্টাইন করে রেখেছেন। তারা বাতিল করেছেন পরবর্তী ইভেন্টগুলো।

করোনা আতঙ্কে হিথ্রো বিমানবন্দরে স্বাভাবিক কর্মকাণ্ড ব্যাহত হচ্ছে। এ কারণে সারা বৃটেনে ক্রমাগত উদ্বেগ বাড়ছে। তবে বৃটেনে যে ৪ লাখ মানুষ এতে মারা যাবেনই এমন পূর্বাভাস দিচ্ছেন না প্রফেসর ফারগুসন। তবে তিনি সতর্ক করছেন এই সংখ্যা অসম্ভব কিছু না।

অনলাইন ডেইলি মেইল এ খবর দিয়ে বলছে, গবেষণা ইঙ্গিত দিচ্ছে, বৃটেনের শতকরা ৬০ ভাগ মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন।

প্রফেসর ফারগুসনের মতে, আমাদের এখনকার হিসাব বলছে, আক্রান্তদের মধ্যে শতকরা এক ভাগ মানুষ মারা যেতে পারেন। তিনি এই হিসাব এমন এক সময়ে প্রকাশ করলেন যখন বৃটিশ সরকার এটা নিয়ে কাজ করছে এবং আন্দাজ করছে যে, এই ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন বৃটেনের অর্ধেক মানুষ। তা কয়েক মাসের মধ্যে বৃটেনের প্রতিটি অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়তে পারে। এর ফলে হাসপাতালগুলো হিমশিম খেতে পারে।

কারণ, তখন নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র বা আইসিইউতে চিকিৎসার ক্ষেত্রে কাকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে তা নির্ধারণ হয়ে পড়বে অনেক কঠিন। শনিবার দিবাগত রাতে প্রফেসর ফারগুসনকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, এতে কি ৪ লাখ মানুষ মারা যাবেন?

তিনি জবাবে বলেন, জোর সম্ভাবনা আছে। কিভাবে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে সে সম্পর্কে আমরা জানি। আমরা আরও জানি বিগত দিনের মহামারিগুলোর ডাটা সম্পর্কে।

এ ভাইরাস মানুষ থেকে মানুষে ছড়িয়ে পড়ছে। এর ফলে প্রাপ্ত বয়স্কদের প্রায় সবাই আক্রান্ত হতে পারেন। তবে এটা শিশুদের ক্ষেত্রে কিছু কম হতে পারে। ফলে শতকরা ৬০ ভাগ আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি আছে।

এরই মধ্যে বিশ্বজুড়ে এই ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে কমপক্ষে ১৫২৩। আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে ৬৬ হাজার। ওদিকে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে চেকিংয়ে এবং বিভিন্ন আনুষঙ্গিক কারণে প্রতিদিন বিলম্ব হওয়ার কারণে ক্রমশ উদ্বেগ বাড়ছে। শুক্রবার সেখানে কয়েক ঘন্টার এক দুর্ভোগের শিকারে পরিণত হন যাত্রীরা।

কারণ, এদিন ওই সময়ে কমপক্ষে ৮টি বিমানকে করোনা ভাইরাস আতঙ্কে উড্ডয়ন করতে দেয়া হয় নি। মেইল অনলাইন জানতে পেরেছে যে, মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর থেকে যাওয়া বৃটিশ এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটকে সেখানে টারমার্কে দু’ঘন্টা বসিয়ে রাখা হয়। বিমানটি স্থানীয় সময় সকাল ৬টা ৪৫ মিনিটে অবতরণ করে। সম্প্রতি ওয়েস্টমিনস্টারে একটি বাস কনফারেন্সে যোগ দেন বৃটিশ দু’এমপি।

তারা এখন নিজেদের নিজেরাই কুয়ারেন্টাইন করে রেখেছেন। কারণ, ওই কনফারেন্সে যোগ দিয়েছিলেন বৃটেনে করোনা আক্রান্ত ৯ জন রোগির একজন। ওই দু’জন এমপি হলেন লেবার দলের লিলিয়ান গ্রিনউড এবং অ্যালেক্স সোবেল। তারা দু’জনেই নিজেদের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিয়েছেন টুইটারে। বলেছেন, আসন্ন ইভেন্টগুলো পূর্ব সতর্কতা হিসেবে তারা বাতিল করেছেন।

বৃটিশ পার্লামেন্ট থেকে মাত্র কয়েক স্টোন দূরে কিউইআইআই সেন্টারে ৬ই ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হয় ওই বাস কনফারেন্স। এতে তারকা বক্তার মধ্যে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের বাস বিষয়ক মন্ত্রী নোরবিটনের ব্যারোনেস ভেরে।

আশংকা মতে, আগামী এক বছর বা এমন সময়ের জন্য আমরা যেটা জানি না তা হলো, যদি সবাই আক্রান্ত হয় তাহলে কি হবে। তখন কি অনুপাতে মানুষ মারা যাবেন তাও জানি না। আমাদের এখনকার হিসাব বলছে, আক্রান্তদের মধ্যে শতকরা এক ভাগ মারা যেতে পারেন।




Comments are closed.



পুরানো সংবাদ সংগ্রহ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০৩১  
All rights reserved © shirshobindu.com 2012-2024