শীর্ষবিন্দু নিউজ: ব্রিটেনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক হিসেবেই পরিচিত ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের। ব্যাংকটির ভল্টে চার লাখের বেশি স্বর্ণের বার রয়েছে, যার মূল্য হবে ২০ হাজার কোটি ডলার। এসব বার দিয়ে কোটি কোটি বিয়ের রিং বানানো যাবে।
ব্যাংক অব ইংল্যান্ড যুক্তরাজ্যসহ ৩০ দেশের স্বর্ণ তাদের নিরাপত্তা হেফাজতে রাখা হয়েছে । ১৬৯৪ সালে ব্যাংকটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে এতে কোনো ডাকাতি কিংবা চুরির ঘটনা ঘটেনি। টাওয়ার ৪২ নামের সিটি অব লন্ডনের দ্বিতীয় উচ্চতম ভবনে এ ভোল্টটি অবস্থিত।
এটিতে প্রবেশের জন্য তিন ফুট লম্বা চাবির দরকার হয়। এ ব্যাংকটি স্বর্ণ সংরক্ষণের জন্য বিশ্বের ১৫তম বৃহত্তম নিরাপত্তা হেফাজত খানা।
অধিকাংশ আধুনিক ব্যাংকেরই প্রতিষ্ঠা ব্যাংক অব ইংল্যান্ডকে মডেল ধরে। বিশ্বের অষ্টম পুরনো ব্যাংকটির সোনার ভল্ট এক ধরনের রহস্যই বলা চলে, যা নিয়ে মানুষের আগ্রহের শেষ নেই। যেমন ব্যাংকটির ভেতরে কী পরিমাণ স্বর্ণ আছে, এই প্রশ্নটির জবাব শুনলেই অবাক না হয়ে পাড়া যাবে না।
ভোল্ট কর্মকর্তা বলেন, এসব স্বর্ণ খুবই বিরল ও মূল্যবান। সরবরাহও সীমিত। এটা বানানো যায় না। এসব স্বর্ণ এখানে মজুত রাখা হয়েছে, কারণ এর আর্থিক মূল্য কখনও পড়ে যাবে না। যে কোনো সময় বিনিময় করা যাবে।
তিনি বলেন, এটির বৈশ্বিক স্বীকৃতি রয়েছে। স্বর্ণের চাহিদা সবসময়ই থাকবে। বড় কথা হচ্ছে এটি নিজের বাজার নিজেই তৈরি করে। মুদ্রার মতো এটির মূল্য খুব একটা পরিবর্তন ঘটে না। টেকসই তো বটেই।
বিভিন্ন দেশ এই স্বর্ণের উৎস। স্বর্ণের একটি বার হাতে নিয়ে তার মূল্য জিজ্ঞাসা করলে এক কর্মকর্তা বলেন, চলতি বাজারে ছয় লাখ একুশ হাজার ডলার। এখানের অধিকাংশ বারই সমান্তরাল নয়। এগুলো সহজেই হাতে নিয়ে নাড়াচাড়া করা যায়।
যুক্তরাষ্ট্র থেকে আনা একটি বার দেখিয়ে তিনি বলেন, এটা একেবারেই আস্ত ইটের মতো। এটা ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কের।