রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ০৩:৫৮

বাংলাদেশে জিএম বেগুন চাষ সীমিত করায় উদ্বিগ্ন ভারতীয় বিজ্ঞানীরা

বাংলাদেশে জিএম বেগুন চাষ সীমিত করায় উদ্বিগ্ন ভারতীয় বিজ্ঞানীরা

শীর্ষবিন্দু নিউজ: ভারতে পোকামাকড় প্রতিরোধী জিন সংশোধিত বিশেষ প্রজাতির জিএম বেগুনের চাষে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে ২০১০ সালেই। কিন্তু প্রতিবেশী বাংলাদেশে এই বেগুন চাষ সীমিতভাবে করার সিদ্ধান্তে ভারতে পরিবেশ বিজ্ঞানীদের মধ্যে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে। তাদের আশঙ্কা, বাংলাদেশ থেকে সীমান্ত পেরিয়ে এই বেগুন ভারতে প্রবেশ করলে আগামী দিনে বিপর্যয়ের আশঙ্কা দেখো দেবে।

ভারতের মহারাষ্ট্রের একটি বীজ প্রস্তুত কারক সংস্থা জিনের পরিবর্তনের মাধ্যমে এই বিশেষ প্রজাতির বেগুনের বীজ এমনভাবে তৈরি করেছে যা পোকামাকড় প্রতিরোধ করার ক্ষমতা রাখে। ভারতে ২০০৯ সালে এটি সীমিতভাবে উৎপাদনের অনুমতি দেওয়া হলেও বিজ্ঞানী ও পরিবেশ বিদদের প্রবল আপত্তিতে এটির চাষে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ভারত সরকার।

বিজ্ঞানী ও পরিবেশবিদদের মতে, এই ধরণের বেগুন শরীরের পক্ষে যেমন ক্ষতিকর তেমনি জীব বৈচিত্র্যের উপরও তা বিরুপ প্রভাব ফেলবে। ভারতের সংস্থাটি বিশ্বেও আরও অনেক দেশে এটি চালু করার চেষ্টা চালিয়েছে বলে জানা গেছে। তবে ফিলিপিন্সে সেখানকার আদালত এই বীজের ব্যবহারের তীব্র আপত্তি জানিয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ সরকার এটি পরীক্ষামূলকভাবে উৎপাদনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

কোয়ালিশন ফর জিএম মুক্ত ভারত নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ইতিমধ্যেই ভারত সরকারের কাছে এক আবেদনে বাংলাদেশ থেকে বৈধ বা অবৈধ উপায়ে সংশোধিত প্রজাতির বেগুন যাতে বাংলাদেশ থেকে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য কঠোর ব্যবস্থা গ্রহনের আরজি জানিয়েছে। এই কোয়ালিশনের আহ্বায়ক রাজেশ কৃষ্ণান জানিয়েছেন, বাংলাদেশ থেকে যাতে এই সংশোধিত প্রজাতির বেগুন ভারতে আসতে না পাওে সেজন্য সব ধরণের পথ উদ্ভাবন করার জন্য আবেদন জানানো হয়েছে।

এমনকি বিষয়টি নিয়ে অবিলম্বে বাংলাদেশ করকারের সঙ্গে আলোচনারও আর্জি জানানো হয়েছে। বাংলাদেশ সরকার এই জীন সংশোধিত বেগুন বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনের পক্ষে বলে জানা গেছে। আর এখানেই ভারতের জিএম প্রজাতির ফসলের বিরুদ্ধবাদীদের মধ্যে প্রবল আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।




Comments are closed.



পুরানো সংবাদ সংগ্রহ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮২৯৩০
All rights reserved © shirshobindu.com 2012-2025