গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় কোয়ারেন্টাইনে আছেন বিএনপি চেয়ারপারসন। জানা যায়, আপাতত নিচ্ছেন না টিকা। আগামী ২৫ মার্চ মুক্তির দ্বিতীয় দফার মেয়াদ শেষ হচ্ছে। তার আগেই চিকিৎসার অনুমতি চেয়ে সরকারের কাছে আবেদনের চিন্তা করছে পরিবার।
সংশ্লিষ্ট অনেকের ধারণা, অনুমতি পেলেই বেগম জিয়াকে তারা লন্ডন নিয়ে যাবেন। বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে সম্প্রতি সাক্ষাৎ করেছেন তার দুই আইনজীবী জয়নাল আবেদিন মেজবাহ ও মাসুদ আহম্মেদ তালুকদার।
মেজবাহ বলেন, ম্যাডাম যতক্ষণ আমাদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন উনার বসে থাকতে প্রচণ্ড কষ্ট হচ্ছিল। ব্যক্তিগত চিকিৎসক বাসায় চিকিৎসা দিলেও তার কোনও উন্নতি হচ্ছে না।
আরেক আইনজীবী মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, শারীরিক অবস্থার কারণেই তো সরকার তাকে মুক্তি দিয়েছে। আর উনি যদি সুস্থ না হন তাহলে তৃতীয় দফা মুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য পরিবারের পক্ষে থেকে আবেদন করা হবে।
জানা গেছে, আগে নিয়মিত বিকেল বেলা বারান্দায় আসলেও নভেম্বর মাসে থেকে শীতের কারণে এখন আর আসেন না। সারাক্ষণ নিজের ঘরেই থাকছেন। গৃহপরিচারিকা ফাতেমা ও একজন নার্স তার সঙ্গী। মাঝে মধ্যে তার বোন সেলিমা ইসলাম ও ছোট ভাই শামীম এস্কান্দারের স্ত্রী কানিজ ফাতেমা বাসা থেকে খালেদা জিয়ার জন্য খাবার রান্না করে আনেন। তখন তাদের সঙ্গে গল্প করে কিছুটা সময় কাটান।
প্রসঙ্গত: নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, মার্চের মধ্যে লন্ডনে শত ভাগ ভ্যাকসিনেশন সম্পন্ন। সেখানে করোনা সংকট কমলে সরকারের কাছে উন্নত চিকিৎসার জোর দাবি জানাবে খালেদা জিয়া পরিবার।