শীর্ষবিন্দু আন্তর্জাতিক নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের করাচিতে সহিংসতায় কমপক্ষে ১১ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম ডন পত্রিকা। মঙ্গলবার করাচিতে কয়েকটি সহিংসতায় এই ঘটনা ঘটে বলে সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়।
জানা যায়, করাচির কোরাঙ্গি শিল্পাঞ্চলে চামরা চৌরাঙ্গী হোটেলের পাশে গুলিবর্ষণে দু‘জন নিহত হয়েছেন। এদিকে, লিয়ারি এলাকার বাধা অবস্থায় এক ব্যাক্তির মরদেহ খুজে পাওয়া গেছে। ঔই ব্যাক্তিকে অপহরণের পর গুলি করে হত্যা করা হয়। করাচির ডিফেন্স মোড়ে পাকিস্তান মুসলিমরীগের কাউন্সিলরসহ ু‘জন ব্যাক্তি বন্দুকধারীদের উন্মুক্ত গুলিবর্ষণে নিহত হয়েছেন। একই এলাকায় অজ্ঞাত বন্দুকধারীদের গুলিতে এক মুয়াজ্জিন নিহত হয়েছেন। কোরাঙ্গি থেকে আর এক ব্যাক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
ওরাঙ্গি এলাকার কাতার মোড়ের একটি বাসার পানির ট্যাংকিতে এক দম্পতির মরদেহ খুজে পাওয়া গেছে। গলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তাদের হত্যা করা হয়। ওরাঙ্গি ২ নম্বর এলাকায় গুলিবর্ষণে একজন নিহত ও একজন আহত হয়েছেন। ইত্তেহাদ শহরের বালদিয়া এলাকা থেকে আরেকটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শারীরিক নির্যাতন করে ঔই ব্যাক্তিকে হত্যা করা হয়েছে। দেশটির সেনাপ্রধান জেনালের আশফাক পারভেজ কায়ানি করাচি সফর করে নিরাপত্তা সদস্যদের শান্তি বজায় রাখতে কঠোর নির্দেশ দেওয়ার ঠিক একদিন পরেই সহিংসতার এসব ঘটনা ঘটলো।
পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় শহরটিতে রাজনৈতিক ও জাতিগত সংঘাতের কারণে হত্যা, অপরহরণসহ সন্ত্রাসীমূলক কর্মকান্ড বেড়েই চলেছে। দেশটিতে পবিত্র মহররম মাসের শুরুতে এ ধরনের সহিংস ঘটনা ঘটেছে। এ মাসের গুরুত্ব শিয়া সম্প্রদায়ের কাছে অনেক বেশি।