শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৬:০৭

কানাডার পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী কে?

কানাডার পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী কে?

শীর্ষবিন্দু নিউজ, টরেন্টো / ২৮৯
প্রকাশ কাল: মঙ্গলবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২১

কানাডায় ৪৪তম কেন্দ্রীয় সরকারের নির্বাচন চলছে। কানাডার জাতীয় সংসদের নিম্নকক্ষ ‘হাউস অফ কমন্স’ এর নির্বাচন। প্রায় ছয় বছরের মাথায় দ্বিতীয় সাধারণ নির্বাচন (সংসদ নির্বাচন) হচ্ছে। লিবারেল পার্টি থেকে নির্বাচিত বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর দ্বিতীয় মেয়াদ চলছে।

ভোরে জানা যাবে কে হচ্ছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী। কনজারভেটিভ পার্টির এরিন ওটুল নাকি লিবারেল পার্টির জাস্টিন ট্রুডো। জাস্টিন দায়িত্ব নিলে তিনি হবেন তৃতীয় বারের মতো প্রধানমন্ত্রী। যদিও বিভিন্ন জরিপ বলছে, কানাডিয়ান এয়ার ফোর্সে ১২ বছরের চাকরি শেষ করা এরিন তছনছ করে দিতে পারেন ট্রুডোর শিবির।

যদিও সাধারণ মানুষের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে কোনো আগ্রহ আছে বলে মনে হয় না, সবাই যে যার মতো নিজের কাজ নিয়ে ব্যস্ত, নেই কোনো মিছিল, নেই কোনো জোরালো নির্বাচন ক্যাম্পেইন। আবার নির্বাচনের দিন সরকারি ছুটিও নেইl গত সপ্তাহে প্রায় ২০ শতাংশ মানুষ আগাম ভোট দিয়েছে, তারপর পোস্টাল মেইলে ভোট দেয়ার ব্যবস্থাও ছিল।

ধারণা করা হচ্ছে- মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বর্তমান ক্ষমতাসীন দল ‘লিবারেল পার্টি’ এবং ‘নজারভেটিভ পার্টির’ মধ্যে। আর তৃতীয় স্থানে থাকবে ‘নিউ ডেমোক্রেটিক পার্টি’, এই পার্টি তৃতীয় স্থানে থেকে প্রয়োজনে কোয়ালিশন সরকারে অংশগ্রহণ করবে অথবা সরকারের বাইরে থেকে মাইনরিটি সরকার গঠনে সহায়তা করবে। এখনকার জনমত জরিপে লিবারেল পার্টি এবং কনজারভেটিভ পার্টি উভয়েই ৩০ শতাংশের একটু বেশি ভোট পেতে পারে কিন্তু আসন সংখ্যা বিচারে লিবারেল পার্টি বেশ কিছুটা এগিয়ে আছে। যদিও জনমত জরিপ যে সবসময় সঠিক থাকবে তার কোনো নিশ্চয়তা নেই।

ট্রুডোর দল লিবারেল পার্টি অব কানাডার জনপ্রিয়তা এখন ৩২ শতাংশ এবং কনজারভেটিভদের ৩১ শতাংশ। অবশ্য অন্য জরিপে কনজারভেটিভ এগিয়ে আছে ১ পয়েন্টে। কানাডিয়ানদের কাছে ওটুলের জনপ্রিয়তা বেড়েছে। নির্বাচনী প্রচারণায় ওটুলের অনেক উদ্যোগের কথা কানাডিয়ানদের মনোযোগ আকর্ষণ করেছে। অথচ এর আগে ট্রুডো যখন ২০ সেপ্টেম্বরে নির্বাচনের ঘোষণা দিলেন তখন জনমত জরিপে তিনি বিপুলভাবে এগিয়ে ছিলেন।

২০১৯ সালে শেষ নির্বাচনে ১৫৭টি আসন (সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে হলে ১৭৭টি আসন পেতে হয়) নিয়ে মাইনরিটি সরকার গঠন করেl তার মেয়াদ এখনো শেষ হয়নি অথবা সব বিরোধী দল একত্রিত হয়ে সরকার ফেলে দেয়ার চেষ্টাও করেনি, ক্ষমতায় থাকতে চাইলে আরো কিছুটা সময় সরকারে থাকতে পারতেন।

কিন্তু জাস্টিন ট্রুডোর ধারণা হলো- এখন যেহেতু জনমত তার পক্ষে আছে কাজেই নির্বাচন হলে হয়তো মেজরিটি আসন নিয়ে সরকার গঠন করতে পারবেনl অবশ্য নির্বাচন ঘোষণার সময় সমস্ত জনমত জরিপ সেরকমই আভাসই দিচ্ছিলl এর আগের অর্থাৎ ২০১৫ সালের সংসদ নির্বাচনে লিবারেল পার্টি মেজরিটি আসন নিয়ে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী পূর্ণ মেয়াদে ক্ষমতায় ছিলেন।

কানাডা স্বশাসিত দশটি প্রদেশ এবং তিনটি টেরিটোরি নিয়ে গঠিত একটি দেশ। ব্রিটিশ রানী এলিজাবেথ এখনো কানাডার সাংবিধানিক রাষ্ট্রপ্রধান, রানীর নিযুক্ত প্রতিনিধি গভর্নর জেনারেল দ্বারা পরিচালিত হয়। আর মত্রিপরিষদ শাসিত সরকার ব্যবস্থায় নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী দ্বারা সরকার পরিচালিত হয়।

জনসংখ্যারভিত্তিতে আসন সংখ্যার দিক দিয়ে অন্টারিও এবং কুইবেক প্রদেশ সংসদের অর্ধেকের বেশি আসনের প্রতিনিধিত্ব করে, স্বাভাবিক ভাবে কানাডার ইস্টার্ন পার্টে (পূর্বাঞ্চল) যে পার্টি আসন সংখ্যায় সংখ্যাধিক্য লাভ করে সেই পার্টিই প্রথাগতভাবে ক্ষমতায় আসেl সারা পৃথিবী এখন করোনা আক্রান্ত হয়ে অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যস্ত।

বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো করোনা মোকাবিলায় মোটামুটি সফলতা দেখাতে পেরেছে, কিছু ত্রুটি বিচ্যুতি তো ছিলই, বিতর্ক সব সময়ই থাকবে- কেন কানাডা টাকা দিয়ে টিকা কেনার পরও হাতে পেতে কয়েক মাস দেরি হলো? আবার কেন কানাডা সুযোগ থাকা সত্ত্বেও টিকা বানাতে পারলো না? দেশের অর্থনীতি সঠিক পথে রাখতে ফেডারেল সাহায্যের কমতি ছিল না, এখনো চেষ্টা করে যাচ্ছেl এগুলোই নির্বাচনের প্রধান ইস্যু বলেই মনে হচ্ছে।

এখন দেখার বিষয় সাধারণ মানুষ বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোকে ভোট দিয়ে তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী করে অথবা তার থেকে থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়। সর্বত্রই আলোচনা হচ্ছে- নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। আড্ডা, আলোচনা, জরিপে যাই হোক না কেন, ভোটারদের রায়ই বলে দেবে- এরিন নাকি জাস্টিন হচ্ছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী।




Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *



পুরানো সংবাদ সংগ্রহ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
All rights reserved © shirshobindu.com 2024