যুক্তরাজ্যে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার প্রাথমিক অবস্থায় সংক্রমণ ঠেকাতে আরও ব্যবস্থা নিতে পারেনি দেশটির সরকার। এই ঘটনাকে দেশটির সরকারি স্বাস্থ্যসেবার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা বলে মনে করেন আইনপ্রণেতারা। ব্রিটিশ আইনপ্রণেতাদের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।
বিবিসি জানায়, ব্রিটিশ পার্লামেন্টের হেলথ অ্যান্ড সোস্যাল কেয়ার কমিটি এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কমিটির দীর্ঘ প্রতিক্ষিত প্রতিবেদনে এসব অনুসন্ধান হাজির করা হয়েছে। এসব কমিটিতে সব দলের আইনপ্রণেতারা অংশগ্রহণ করেছেন।
আন্তঃদলীয় আইনপ্রণেতাদের প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, ব্রিটিশ সরকারের সফলতাও রয়েছে, বিশেষ করে টিকাদান কর্মসূচিতে। গবেষণা থেকে শুরু করে উন্নয়ন এবং টিকা চালুর সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গিকে আইনপ্রণেতারা ব্রিটিশ ইতিহাসের সবচেয়ে কার্যকর উদ্যোগ অভিহিত করা হয়েছে। ব্রিটিশ সরকারের এক মুখপাত্র বলেছেন, শিক্ষা নেওয়া হবে। সেই কারণেই আগামী বছর একটি পূর্ণাঙ্গ সরকারি তদন্ত হবে।
ব্রিটিশ আইন প্রণেতাদের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিজেদের বিজ্ঞানীদের সমর্থনে সরকার পরিস্থিতি ম্যানেজ করার চেষ্টা করেছে আর কার্যত সংক্রমণের মধ্য দিয়ে হার্ড ইমিউনিটি অর্জন করতে চেয়েছে। আর সেই কারণেই প্রথম লকডাউন আরোপে দেরি হয়ে যায়, বাড়ে প্রাণহানি। তবে ব্রিটিশ সরকারের সফলতাও রয়েছে, বিশেষ করে টিকাদান কর্মসূচিতে। গবেষণা থেকে শুরু করে উন্নয়ন এবং টিকা চালুর সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গিকে আইনপ্রণেতারা ব্রিটিশ ইতিহাসের সবচেয়ে কার্যকর উদ্যোগ অভিহিত করেছেন।
দেড়শ পাতার প্রতিবেদনে কমিটিগুলো মহামারির পুরো সময় জুড়ে সফলতা এবং ব্যর্থতার নানা ধরণ সামনে এনেছে। এই মহামারিতে দেশটিতে এখন পর্যন্ত দেড় লাখেরও বেশি মানুষের প্রাণহানি হয়েছে। আইনপ্রণেতারা একে এক শতাব্দির মধ্যে সবচেয়ে বড় শান্তিকালীন চ্যালেঞ্জ আখ্যা দিয়েছেন।
রক্ষণশীল দলের আইনপ্রণেতা জেরেমি হান্ট এবং গ্রেগ ক্লার্ক এসব কমিটির প্রধান। তারা বলেছেন, মহামারির প্রকৃতিটাই এমন ছিলো যে সবকিছু ঠিকঠাক হওয়াটাই অসম্ভব ছিলো। প্রতিবেদনের সঙ্গে দেওয়া এক বিবৃতিতে তারা বলেন, যুক্তরাজ্যে কিছু বড় অর্জনের সঙ্গে কিছু বড় ভুলও হয়েছে। উভয় দিক থেকে শিক্ষা নেওয়াটাই জরুরি।
Leave a Reply