বানের পানিতে ভাসছে সিলেট। প্রতিদিন নতুন নতুন এলাকা পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে। পানিবন্দি লাখ লাখ মানুষ। চারদিকে পানি আর পানি। সিলেট ও সুনামগঞ্জের বেশির ভাগ এলাকা প্লাবিত।
উজানের ঢলে প্রতিদিনই নতুন নতুন এলাকায় পানি ঢুকছে। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মানুষের দুর্ভোগ। খোলা হয়েছে আশ্রয়কেন্দ্র। কিন্তু সেখানেও দুর্ভোগ আর দুর্দশায় দিন পার করছেন আশ্রিতরা। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পর্যাপ্ত ত্রাণের অভাবে অর্ধাহার, অনাহারে দিন পার করছে মানুষ।
৫ দিন ধরে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন অনেক এলাকা। বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংকটে ঘরে খাবার নেই। বিশুদ্ধ পানি সংকটে মানুষ। স্যানিটেশন ব্যবস্থাও নাজুক। আশ্রয়কেন্দ্রে অনিশ্চিত বসবাস করছে মানুষ। সুরমা অববাহিকার পর এবার কুশিয়ারা অববাহিকতায় ঢল আঘাত হেনেছে। আগেই তলিয়ে গেছে বিস্তীর্ণ এলাকা। নতুন ঢলে দেখা দিয়েছে নানা শঙ্কা।
সিলেটের উজানে ভারতের আসামেও তীব্র বন্যা দেখা দিয়েছে। এই বন্যার পানি নামবে সিলেটের একাংশ দিয়ে। ফলে সিলেটে এবার বন্যা স্থায়ী রূপ নিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী কানাইঘাট, সিলেট কুশিয়ারা, জকিগঞ্জের অমলসীদ, বিয়ানীবাজারের শ্যাওলা ও ফেঞ্চুগঞ্জে কুশিয়ারা নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
সুরমায় পানি কমলেও কুশিয়ারায় পানি বেড়ে যাওয়ায় নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। কানাইঘাট, জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট ও কোম্পানীগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। উজানে ঢল নামলেই তলিয়ে যায় সিলেট। এ কারণে সিলেটের বন্যা পরিস্থিতি নির্ভর করে উজানের ঢলের উপর।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রস্তুত করা ২৭৪টি আশ্রয়কেন্দ্রের মধ্যে শতাধিক কেন্দ্রে লোকজন উঠেছেন। পানিবন্দি লোকজনকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যেতে স্থানীয় প্রশাসন কাজ করছে। জেলার প্রায় ৬ শতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে খোলা হয়েছে আশ্রয়কেন্দ্র।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে যে পরিমাণ ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে; সেগুলো পর্যাপ্ত নয় বলে জানিয়েছেন বন্যার্তরা। জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাটের কয়েকটি আশ্রয়কেন্দ্রের লোকজন জানিয়েছেন, বন্যায় আক্রান্ত হওয়ার ৫ দিনের মধ্যে তিন দিনই তারা শুকনো খাবার খেয়ে বেঁচে ছিলেন। বৃহস্পতিবার রাত থেকে তাদের খিচুড়ী দেয়া হচ্ছে। এ কারণে পানিবন্দি মানুষের মধ্যে খাবার সংকট দেখা দিয়েছে। পর্যাপ্ত ত্রাণ না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের জনপ্রতিনিধিরা।
তারা জানিয়েছেন, নগরের ১২টি ওয়ার্ডের বিস্তীর্ণ এলাকা পানির নিচে তলিয়ে গেছে। রাতারাতি পানি এসে ঢোকায় কোনো প্রস্তুতি নেয়ার সুযোগ ছিলনা। নগরের ঘাষিটুলা, বেতেরবাজার, কানিশাইল, উপশহর, সোনারপাড়া, কুশিঘাটসহ কয়েকটি এলাকার লোকজন প্রথম তিনদিন শুকনো খাবার খেয়েছেন। বৃহস্পতিবার থেকে তারা রান্না করা খিচুড়ি খেয়েছেন।
সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নুর আজিজুর রহমান জানিয়েছেন, সিলেট নগরেই লাখো মানুষ পানিবন্দি। ১৮টি আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় দু্ই হাজার মানুষ বসবাস করছে। কিন্তু নগরের বন্যার্তদের মধ্যে সরকার থেকে মাত্র ৩ টন চাল বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে। এটি পর্যাপ্ত নয় বলে দাবি করেছেন তিনি।
বর্তমানে সিটি করপোরেশনের তহবিল থেকে ত্রাণ কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। নগরীর উপশহর এলাকা এবার বন্যায় সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত। উপশহরে চারদিন বিদ্যুৎ ও গ্যাস ছিলনা। ফলে অনেক বাসিন্দা এলাকা ছেড়ে নগরের অন্যান্য এলাকায় স্বজনদের বাড়িতে অবস্থান নিয়েছেন। যারা উপশহরে রয়ে গেছেন তারা অনাহারে অর্ধাহারে রয়েছেন।
সিলেটের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী জানিয়েছেন, বিদ্যুৎ সংযোগ দ্রুতই স্বাভাবিক করা যাচ্ছে না। অনেক স্থানে বিদ্যুতের মিটার, ট্রান্সমিটার পর্যন্ত পানিতে ডুবে গেছে। এজন্য বিদ্যুৎ বিভাগের পক্ষ থেকে কাজ করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, সিলেট নগরী বন্যায় ডুবে যায়- এ নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে সুনির্দ্দিষ্ট পদক্ষেপ নিতে হবে। বিশেষ করে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ, সুরমা নদী খনন করা জরুরি। এজন্য এবারের বর্ষার পর তার পক্ষ থেকে প্রস্তাবনার পাশাপাশি জোড়ালো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
মহানগরের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে সিলেট সিটি করপোরেশনের জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে নগর ভবনের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত জরুরি সভায় সভাপতিত্ব করেন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।
সভায় বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে সিসিকের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমানকে প্রধান করে একটি কন্ট্রোল রুম খোলার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। মহানগরের নদীবর্তী বিভিন্ন ওয়ার্ডের আশ্রয়কেন্দ্র ও বাসাবাড়িতে থাকা পানিবন্দি মানুষের তালিকা দ্রুত সময়ের মধ্যে পণয়ন ও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ, আশ্রয়কেন্দ্র সমূহে বন্যার্তদের জন্য খাবার ব্যবস্থা করা, শিশুখাদ্য সরবরাহ ও স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সিসিকের ৩টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়।
এছাড়া প্লাবিত এলাকার মানুষের বিশুদ্ধ খাবার পানি সংকট নিরসনে ১ লাখ পিস পানি বিশুদ্ধকারি ওষুধ বিতরণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ইতিমধ্যে আশ্রয়কেন্দ্র ও পানিবন্দি মানুষের খাবার পানির সংকট নিরসনে সিসিকের পানির গাড়ি পাঠানো হচ্ছে। পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত এই সেবা অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
এদিকে সিসিকের মেডিকেল টিমগুলো বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নেয়া মানুষের স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করবে। বৃহস্পতিবার রাত থেকেই বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে শুকনো খাবারের পাশাপাশি বন্যার্তদের দেয়া হচ্ছে রান্না করা খাবার (খিচুড়ি)। পরিস্থিতি বিবেচনায় খাবার বিতরণ অব্যাহত থাকবে। এই পরিস্থিতিতে সিলেট মহানগরের বন্যা কবলিত এলাকার মানুষের সাহায্যে সিসিক সর্বাত্মক চেষ্টা করবে বলে জানিয়েছেন সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। এ অবস্থায় সিলেটের দুর্গত মানুষের জন্য সরকারও বিশেষ সহযোগিতা প্রদান করবে বলে প্রত্যাশা সিসিকের।
জরুরি সভায় কাউন্সিলররা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সিসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিধায়ক রায় চৌধুরী, প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. জাহিদুল ইসলাম, নির্বাহী প্রকৌশলী আলী আকবর, নির্বাহী প্রকৌশলী শামসুল হক পাটওয়ারী, নির্বাহী প্রকৌশলী রুহুল আলম, নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুস সোবহান, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ হানিফুর রহমান, জনসংযোগ কর্মকর্তা আব্দুল আলিম শাহ, সিসিকের বিভিন্ন বিভাগ ও শাখার কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ।
এদিকে, বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢল অব্যাহত থাকায় সুনামগঞ্জের সীমান্তবর্তী ৫টি উপজেলার বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। সুনামগঞ্জ সদর, তাহিরপুর, ছাতক, দোয়ারাবাজার ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় বন্যার পানিতে বিপর্যস্ত জনপদ। নতুন করে পানি বাড়ছে শান্তিগঞ্জ, দিরাই, শাল্লা ও জগন্নাথপুর উপজেলার নিম্নাঞ্চলে। শুক্রবার সুনামগঞ্জ পৌর শহরের বিলপাড়, সরকারি কলেজের পূর্বদিক, কালীপুর, ওয়েজখালী, হাজীপাড়া, তেঘরিয়া, নবীনগর, পূর্ব-নতুনপাড়া, হাছন নগরসহ কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, নতুন করে এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।
এসব এলাকার বসতবাড়িতে পানি প্রবেশ করেছে। যারা দরিদ্র ও নিচু এলাকার ঘরবাড়িতে অবস্থান করেন তারা উঁচু এলাকায় এসে আশ্রয় নিচ্ছেন। বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার চালবন্দ গ্রামের কয়েকজন কৃষক, এলাকার উঁচু জমিতে বোরো আবাদ করেছিলেন। বন্যার পানিতে পাকা ধান ডুবে যাওয়ায় বড় ক্ষতির মুখে পড়েছেন তারা। এখন পানি কমার আর সুযোগ নেই। তাই এই ফসল সম্পূর্ণ ক্ষতি হবে। দেখা গেছে, পৌর শহরের কালীপুর এলাকার প্রায় ২০০ ঘরবাড়িতে পানি প্রবেশ করেছে। বন্যাকবলিত মানুষজন বিসিক ও পুলিশ লাইনসে এসে আশ্রয় নিয়েছে।
বন্যায় জেলার বিভিন্ন উপজেলায় প্রায় ৫০০ পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। এতে ক্ষতির মুখে পড়েছেন মাছচাষিরা। এর মধ্যে দু’টি উপজেলার ক্ষতি হয়েছে বেশি। জেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলার ৪৫০টি পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। এতে টাকার অঙ্কে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় দুই কোটি টাকা। এর মধ্যে জেলার দোয়ারাবাজার উপজেলায় ২৫৮টি এবং ছাতক উপজেলায় ১৫৭টি পুকুরের মাছ ও পোনা ভেসে গেছে। এসব পুকুরে ৩০ মেট্রিক টন মাছ ছিল। পোনা ছিল প্রায় ২৫ লাখ।
জেলা কৃষি সমপ্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিমল চন্দ্র সোম বলেন, এক সপ্তাহের ঢলে যেসব ফসলি ক্ষেত ডুবে গেছে তা থেকে সহজে পানি নামার সুযোগ নেই। ৭৭৭ হেক্টর জমির পাকা বোরো ধান, ৭৫ হেক্টর বাদাম, আউশ বীজতলা ৭৪ হেক্টর, সবজি ৬০ হেক্টর ও ২০ হেক্টর আউশ ধান ডুবে গেছে। এছাড়াও অন্তত আট হাজার হেক্টর জমির বোরো ধান কাটা বাকি থাকায় ক্ষতির মুখে পড়েছে।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সকালে সুনামগঞ্জ পৌর শহরের ষোলঘর পয়েন্টে সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ১৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়াও জেলার সবক’টি ছোট-বড় নদ-নদীর পানি বিপদসীমা ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। শান্তিগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকা নতুন করে প্লাবিত হচ্ছে।
উপজেলার পূর্ব-পাগলা, জয়কলস, পাথারিয়া, দরগাপাশা, পশ্চিম বীরগাঁও ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে পানি বাড়ছে। শান্তিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ফারুক আহমদ বলেন, যেভাবে পানি বাড়ছে, তা যদি অব্যাহত থাকে, তাহলে দুইদিনের মধ্যে পুরো উপজেলা বন্যাকবলিত হয়ে যাবে। সদর উপজেলার কুরবাননগর, মোল্লাপাড়া, রঙ্গারচর ইউনিয়ন নতুন করে প্লাবিত হয়েছে।
জেলা শহরের সুনামগঞ্জ বক্ষব্যাধি হাসপাতাল, ছাতক উপজেলার কৈতক ২০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল ও তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নিচতলায় পানি ঢুকে পড়েছে। এতে রোগী ও চিকিৎসক উভয়েই ভোগান্তির মধ্যে পড়েছেন। জেলা ডেপুটি সিভিল সার্জন আব্দুল্লাহ আল বেরুনি খান বলেন, জেলার তিনটি হাসপাতালে পানি উঠেছে। এর মধ্যে দুটি হাসপাতালের ভিতরে পানি ঢুকে গেছে।
আর তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কম্পাউন্ডে পানি ঢুকেছে। এতে চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হচ্ছে। এই অবস্থার মধ্যে মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে বলে জানান- ডেপুটি সিভিল সার্জন। তিনি আরও বলেন, উপজেলাগুলোতে পর্যাপ্ত ওরস্যালাইন ও পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট পাঠানো হয়েছে।
বন্যায় দোয়ারাবাজার ও তাহিরপুর উপজেলার ৩টি সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভেসে গেছে দোয়ারাবাজার উপজেলার রামনগর সেতুটি। সুনামগঞ্জ স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহবুব আলম জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে ছাতক- দোয়ারাবাজার সড়কের পানাইল সেতুর দুইদিকের সংযোগ সড়ক ঢলের তোড়ে ধসে গেছে।
তিনি আরও জানান, ঢলের তীব্রতায় আরও দু’টি সেতু ধসে গেছে। এরমধ্যে রয়েছে তাহিরপুর উপজেলার দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নের লামাগাঁও সেতু এবং বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার গজারিয়া রাবার ড্যামের সংযোগস্থল। রাবার ড্যামের অফিস কক্ষও ধসে গেছে। ছাতক ও দোয়রাজার উপজেলাসহ তাহিরপুর, বিশ্বম্ভরপুর ও সুনামগঞ্জ সদরে অন্তত ২৫টি গুরুত্বপূর্ণ সড়কের বিভিন্ন অংশ ভেঙে গেছে বলেও এই প্রকৌশলী জানান।
Leave a Reply